• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

দুপুরে আদালতে নেয়া হচ্ছে হেনাকে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার মামলায় গ্রেফতারকৃত শ্রেণি শিক্ষকা হাসনা হেনাকে দুপুরে ঢাকা মুখ্য নগর হাকিম আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে মহানগর ডিবি পুলিশ গোয়েন্দা।

বৃহস্পতিবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে উত্তরা এলাকার একটি হোটেল থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে ডিবি পশ্চিম জোনের এসি আতিকের মতিঝিল জোনাল টিম। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়েও নেয়া হয় বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে আত্মহত্যার পরদিন মঙ্গলবার রাতে পল্টন থানায় ভিকারুননিসা স্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বুধবার সন্ধার পর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা।

জানা গেছে, মামলায় আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচণার দায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আখতারকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।

মামলাটির তদন্তভার পাওয়ার পর পরই স্কুলে গিয়ে সে দিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে ডিবি পুলিশ গোয়েন্দা। এতে শিক্ষক ও অরিত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। অভিযুক্তদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার জেরে ওই দিন বিকেলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি পাঠায়।

ওই চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আখতার এবং শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও। এতে অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষকের বেতনভাতা বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী গেল সোমবার আত্মহত্যা করার পর থেকে উত্তেজনা চলছে রাজধানীর খ্যাতনামা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছেন। তারা এই ঘটনার যথাযথ বিচারের দাবি করেন। বুধবার সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেইলি রোডের শাখার প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করে কয়েকশ শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অনেক অভিভাবকও।