• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

পাঁচ খাবারেই থাইরয়েড জব্দ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯  

 

 

থাইরয়েড সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগে থাকেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে এক জন এই সমস্যায় ভুগছেন। এটি মূলত গলায় উপস্থিত একটি প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি যা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরয়েড কর্মহীনতার মূল কারণ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।

এটি তখনই ঘটে যখন আপনার শরীর পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হয় না। ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, চুল পড়া  থাইরয়েডের কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ। এই সমস্যাগুলো সমাধানের একটি সেরা উপায় সঠিক খাবার নির্বাচন করা। থাইরয়েড থেকে মুক্তি পেতে এই পাঁচটি খাবার নিয়মিত খেতে হবে-

 কাঁঠালের বীজ  

কাঁঠাল গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এর বীজ সারা বছরই সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। সুস্বাদু এই বীজে রয়েছে ৬৮ থেকে ৯১ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম। যা থাইরয়েড সারাতে বেশ কার্যকর। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২ থেকে ৪ টি কাঁঠালের বীজ খেলে দেহের দৈনিক সেলেনিয়াম চাহিদা পূরণ হবে। 

অ্যাভোকাডো 

অ্যাভোকাডো একটি ফাইটোনিট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ ফল। এই ফলটি পটাসিয়ামসহ অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলোর একটি ভালো উৎস। যা থাইরয়েড রোগীদের জন্য খুবই কার্যকর। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে অ্যাভোকাডো।

সবুজ শাক-সবজি 

পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এই সবজিগুলোতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। যা শরীরকে থাইরয়েডের মৌলিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
   
মাছ 

সালমন, ট্রাউট, টুনা বা সার্ডাইন জাতীয় মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। এমনকি থাইরয়েড কমাতে পারে মাছ। শুধু তাই নয়, মাছ সেলেনিয়ামের একটি ভালো উৎস।

ডিম 

ডিম আয়োডিন এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা থাইরয়েড কমাতে বেশ সহায়ক পুষ্টি উপাদান। একটি ডিমের মধ্যে ২০ শতাংশ সেলেনিয়াম থাকে। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন আপনার দেহের ১৫ শতাংশ আয়োডিন প্রয়োজন। যা খুব সহজেই ডিম পূরণ করে। ডিম প্রোটিন এবং টাইরোসিনেদিকের খুব ভালো উৎস।