মৃত প্রেমিকার সঙ্গে ১০ বছর
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯
ভালোবাসা যত তীব্রই হোক, মৃত্যুর পর প্রেমিকার সঙ্গে থাকার সুযোগ বা সাহস কোনোটাই আপনার হবে না। সেদিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কার্ল টাঞ্জলারকে বলতে পারেন ক্ষ্যাপাটে প্রেমিক। তিনি এই সাহস করেছেন। শুধু কি তাই, প্রায় এক দশক প্রিয়তমার লাশের সঙ্গে তিনি বসবাস করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই টাঞ্জলার বুদ্ধিমান ও কৌতূহলী ছিলেন। তার যখন ১২ বছর বয়স, তখন তিনি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নটা ছিল তার মৃত এক আত্মীয়কে নিয়ে। সে বলেছিল, টাঞ্জলার চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বপ্নের মধ্যেই মৃত আত্মীয় তাকে তার সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষটার চেহারা দেখিয়েছিল। টাঞ্জলার যদিও পরবর্তী সময়ে বিয়ে করেছিলেন, তবুও স্বপ্নে দেখা ভালোবাসার মানুষের মুখের অনুসন্ধান তিনি কখনো থামাননি।
১৯৩০ সালে ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টে তিনি রেডিওলজি টেকনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই যক্ষ্মায় আক্রান্ত ২১ বছরের এলেনা ডি হায়োসের সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন তার বয়স ৫৬। অসুস্থ অবস্থাতেও এলেনার রূপ সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। এলেনার সাদা চামড়া, দীঘল কালো চুল, অদ্ভুত সুন্দর লাজুকতা টাঞ্জলারের নজর এড়ায়নি।
টাঞ্জলার প্রথমবার যখন এলেনাকে দেখলেন তখন মুগ্ধ হয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। এই সেই মুখ, স্বপ্নে দেখা টাঞ্জলারের সত্যিকারের ভালোবাসা! টাঞ্জলার সঙ্গে সঙ্গে এলেনার প্রেমে পড়েন। এরপর তিনি এলেনার পরিবারের কাছে নিজেকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করতে শুরু করেন। তাদের কাছে তিনি নিজেকে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ্লোমাধারী ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেন। এবং এলেনার চিকিৎসা চালিয়ে যান। কিছুদিন পর অনেক গহনা এবং কাপড় দিয়ে টাঞ্জলার এলেনাকে প্রেম নিবেদন করেন। টাঞ্জলারের প্রতি এলেনা কৃতজ্ঞ ছিলেন বটে, কিন্তু তার প্রেমে তিনি সায় দেননি। কেননা তখন তিনি অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। টাঞ্জলারও তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এক বছরের মাথায় পরপারে পাড়ি জমান এলেনা। টাঞ্জলারের আসল প্রেমের গল্প এখান থেকেই শুরু।
এলেনার পরিবারের কাছ থেকে টাঞ্জলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের খরচ বহন এবং সমাধিসৌধ নির্মাণের অনুমতি নেন। এরপর তাকে প্রায় সবসময় এলেনার সমাধির আশেপাশে দেখা যেত। অনেকের চোখে বিষয়টি অতিরঞ্জিত রোমান্টিকতা মনে হলেও, তারা তো আর জানতেন না, টাঞ্জলারের কাছে সমাধিসৌধের চাবি আছে এবং গোপনে তিনি এলেনার মৃতদেহ সংরক্ষণের কাজ করছেন।
টাঞ্জলার
কিছুদিন পর তিনি এলেনার প্রায় পঁচা মৃতদেহ সেখান থেকে সরিয়ে পুরোনো একটি বিমানে তার পরীক্ষাগারে নিয়ে আসেন। এরপর এলেনার সম্পূর্ণ শরীর সেলাই করে দেহের আকৃতি ঠিক করেন। চোখ পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এলেনার চোখে তিনি কাচের চোখ বসিয়ে দেন। শরীরের ভেতরের অংশ নরম কাপড় দিয়ে ভরাট করে দেন এবং সমস্ত শরীরে মোম মাখিয়ে রাখেন যাতে শরীরে আবার পঁচন না ধরে। লাশ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি তার জন্য রান্না করতেন, গান গাইতেন এবং তাকে নিয়ে নাচতেন। প্রায় দশ বছর তিনি এলেনার মৃতদেহ পাশে রেখে এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন! টাঞ্জলার এভাবেই তার প্রিয়তমার ভালোবাসার সঙ্গ উপভোগ করতেন।
একসময় আশেপাশের লোকজন তাকে মহিলাদের কাপড়, সুগন্ধি এবং মেয়েলি নানান জিনিস কিনতে দেখে সন্দেহ করা শুরু করে। অনেকেই তাকে বাড়িতে এক মহিলার সঙ্গে নাচানাচি করতে দেখেছে- এ ধরনের কানাঘুষা শোনা গেলে এলেনার মা-বাবার কানেও কথাটি পৌঁছায়। ১৯৪০ সালের অক্টোবরে এলেনার বোন টাঞ্জলারের সঙ্গে দেখা করতে আসে। তখন সে অবিশ্বাস্যভাবে আবিষ্কার করে- টাঞ্জলার তার মৃত বোনের লাশের সঙ্গে বসবাস করছে। দিকভ্রান্তের মতো দৌড়ে সেই ঘর থেকে বের হয়ে মহিলা সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায়।
পুলিশ টাঞ্জলারকে গ্রেফতার করে এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়। অবাক করা বিষয় হলো, সেই চিকিৎসক তাকে মানসিকভাবে সুস্থ এবং বিচার কার্যের জন্য যোগ্য বলে রিপোর্ট দেয়। অযৌক্তিক কারণে কবর ধ্বংস এবং বিনা অনুমতিতে কবর থেকে লাশ সরানোর অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু মানুষ তাকে ঘৃণা করার পরিবর্তে হতাশাগ্রস্থ রোমান্টিক প্রেমিক ভাবতে শুরু করে। অনেকে তার দুর্ভাগ্যের জন্য দুঃখপ্রকাশও করে। যদিও শেষ পর্যন্ত টাঞ্জলারকে শাস্তি পেতে হয়। তিনি আদালতে এলেনার লাশটিকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় কিনা এই মর্মে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তার আবেদন গ্রাহ্য করার মতো ছিল না। তবে মজার বিষয় হলো, সাধারণ মানুষ চাইছিল এলেনার মৃতদেহ কোনো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হোক।
সব আলোচনা-সমালোচনা শেষে এলেনার লাশ পুনরায় দাফন করা হয়। কিন্তু এলেনার লাশ ঠিক কোথায় দাফন করা হয়েছে তা কাউকেই জানানো হয়নি। লাশ চুরি ঠেকাতেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। লাশ ফিরে না পেয়ে টাঞ্জলার এলেনার মতো দেখতে একটি পুতুল তৈরি করেছিলেন। জীবনের বাকি সময় তিনি এই পুতুলের সঙ্গে কাটিয়েছেন। বিশ্ববাসীকে অবিস্মরণীয় ভালোবাসার প্রমাণ দিয়ে টাঞ্জলার ১৯৫২ সালে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলায় ৬ আসামি কারাগারে
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ ইট ভাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের হাতে পলাতক দুর্ধর্ষ ডাকাত কালাম গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল স্থাপণ করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী
- মঠবাড়িয়ায় পূর্নবাসনের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় ৪ টি জাতীয় দিবস পালনের প্রস্তুতি সভা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় ৯৮০ টি জেলে পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় অবৈধ করাত কল ও ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
- দুই সিটি, ছয় পৌরসহ দুই শতাধিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- চলতি মাসে সম্পন্ন হচ্ছে পিরোজপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কাজ
- মঠবাড়িয়ায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপিত
- মঠবাড়িয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীর মাঝে ঢেউটিন বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
- বাড়িতে গ্যাস লিকেজ হয়েছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে