• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শেষ হলো বিমানের হজ অপারেশন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শেষ হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২০১৯ এর হজ কার্যক্রম। ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এবারের প্রি-হজ অপারেশন ছিল সর্বকালের সেরা। সাউদিয়া এয়ালাইন্সের চেয়ে কম সুযোগ (ফ্রিকোয়েন্সি, স্লট) পেয়েও বিমান সঠিক সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাউদিয়ার চেয়ে কয়েক হাজার বেশি হাজি পরিবহন করতে সক্ষম হয়েছে,’ বলছিলেন বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বিমানকর্মীদের প্রশংসা আরও বেশি প্রাপ্য এ কারণে যে তারা অন্যবারের চেয়ে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কম নিয়ে এ সফলতা অর্জন করেছে। তাদের নিষ্ঠা, কর্মস্পৃহা, দক্ষতা সর্বোপরি বিমানের প্রতি ভালোবাসাই ছিল এই সফলতার মূল নিয়ামক। অপারেশনাল ইউনিট ব্যতিরেকেও প্রশাসন, সেলস, মার্কেটিং, ফিন্যান্সসহ সব পরিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মনোভাব এবারের হজ অপারেশনকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে।

‘বিভিন্ন মিডিয়া, এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এবারের হজ অপারেশনে বিমানের ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে কার্পণ্য করেনি। এ কার্যক্রমে সরাসরি জড়িত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান পরিচালনা পর্ষদ, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, ইমিগ্রেশন, হাবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিমানের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই’,- বলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

পোস্ট হজের মাঝামাঝি সময়ে বিমানের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়াতে কয়েকদিনের শিডিউল সমস্যায় হাজিদের কষ্ট করতে হয়। এমনকি তাদের ২-১দিন অপেক্ষাও করতে হয়। মূলত এ সময়টা ছিল বিমানকর্মীদের অগ্নিপরীক্ষা। এ সব হাজির গ্রাউন্ড ফিডিং, হোটেল ব্যবস্থাপনা, দ্রুততম সময়ে পরবর্তী ফ্লাইট কনফার্ম করা ইত্যাদি কার্যক্রমে বিমানের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের প্রতিজন বিমানকর্মীর দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম, মনোসংযোগ, ধৈর্য ও কাজের প্রতি একনিষ্ঠ মনোভাব এই সমস্যাকে কাটিয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বিমান ব্যবস্থাপনার ঐকান্তিক চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে বিকল ইঞ্জিনটি পরিবর্তন করে অপারেশন নিয়মিত করতে সক্ষম হন।

এ বছর ৩৪৯টি ফ্লাইটে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯৮ জন হাজি পরিবহন করেছে বিমান। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট ঠিক রাখতে শুধু হজের সময়ে অতিরিক্ত ৬৬-৭০ হাজার যাত্রী পরিবহনের জন্য এয়ার এশিয়ার দুটি এয়ারবাস লিজ নেয়া হয়।