দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০

দেশে অরাজকতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ভাস্কর্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে বিএফইউজে’র নেতাদের হাতে মাস্ক তুলে দেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম শাহজাদা, সিডনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদসহ সাংবাদিক নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে শুরু থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এই করোনাকালে, অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সেভাবে দাঁড়ায়নি। শুধু সমালোচনার বাক্স খুলে তারা বসেছিল। বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়, প্রেস ক্লাব আর নয়াপল্টনের রাস্তায় কিছু সমাবেশ করেছে এবং সরকারের প্রতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি বিষোদগার করেছে। করোনার শুরু থেকে অপচেষ্টা ছিল মানুষের মাঝে অহেতুক ভয় সঞ্চারের। তাদের অপচেষ্টা ছিল গুজব রটানো, অপচেষ্টা ছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করা। সেই ক্ষেত্রে মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো রেডিও, টেলিভিশন এবং মূলধারার অনলাইনগুলো বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। সেকারণে গুজব খুব বেশি কাজে লাগেনি।’
তিনি বলেন, ‘গত ৯ মাসে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে, বহু অপচেষ্টা হয়েছে। দেশকে পিছিয়ে দিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এবং করোনার শুরুতে বহু শঙ্কা, আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। সেই সসব শঙ্কা, আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে করোনাকে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই করোনাকালে যখন পৃথিবীর অনেক দেশের জিডিপি গ্রোথ রেড মাইনাস অর্থাৎ ঋণাত্মক, তখন মাত্র ২২টি দেশের জিডিপি গ্রোথ রেড পজিটিভ। এই ২২টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। এগুলো অনেকের সহ্য হয় না। সেকারণে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। করোনার শুরুতে এক ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল। সময়ে সময়ে গুজব রটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বিদেশ থেকে গুজব রটানোর চেষ্টা হয়েছে, এখনও হচ্ছে।’
ড. হাছান অভিযোগ করেন, সর্বশেষ ভাস্কর্য নিয়ে অহেতুক একটি বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যখন ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজরা আসলো, ইংরেজরা আসার আগে ভারতীয় উপমহাদেশের সরকারি ভাষা ছিল ফার্সি, ইংরেজরা আসার পর অনেকে ফতোয়া দিয়েছিলেন— ইংরেজি শিক্ষা হারাম। সেই কারণে বহুবছর মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেকেই ইংরেজি শিখে নাই। ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলমানরা প্রথমদিকে পিছিয়ে পড়েছিল। তারপর যখন টেলিভিশন শুরু হলো ফতোয়া দেওয়া হলো— টেলিভিশন দেখা হারাম এবং যখন ছবি তুলে হজে যাওয়ার নিয়ম চালু হলো— তখনও এটি নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হলো যে, ছবি তুলে হজে গেলে সেই হজ হবে না। এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হলো।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘোষণা দেওয়া হলো, ফতোয়া দেওয়া হলো যে, যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তারা সবাই কাফের। আজকে যারা এই ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে, ওই যে ইংরেজি শিক্ষা হারাম, টেলিভিশন দেখা হারাম এবং ছবি তোলা হারাম, আর মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা যারা করছে, তারা সবাই কাফের। সেই ধারাবাহিকতায় তাদের প্রেতাত্তারাই কিন্তু এটি নিয়ে আজকে প্রশ্ন তুলছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যারা এগুলো করছে তাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাবো, দয়া করে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। দেশের মানুষ এটির বিরুদ্ধে ফুলে ফেঁপে উঠছে। সুতরাং, দয়া করে এই বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু ভাস্কর্য বহু আগে নির্মিত হয়েছে। তখন কেউ প্রশ্ন তুলে নাই। ইসলামি বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে, সৌদি আরবে মানুষের মুখায়বসহ শুরু করে নানা ধরনের ভাস্কর্য আছে। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে সেখানে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আতাতুল্লাহ খোমেনিরও ভাস্কর্য আছে। বাংলাদেশেও আগে বহু নেতার, বহু কবি, সাহিত্যিকের ভাস্কর্য এখানে আছে। তখনতো কেউ কিছু বলেন নাই। হঠাৎ করে এই প্রশ্ন আনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। কারণ, যারা এই প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করছেন তাদের কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা বিভিন্ন দলের নেতা, তাদের দলগুলো আবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। সুতরাং তারা যখন বক্তব্য দেয়, তখন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বক্তব্য দেয়।’ যারা এত দিন ধরে স্বাধীনতাবিরোধীদের লালন করেছে, পোষণ করেছে, স্বাধীনতাবিরোধীদের দিয়ে রাজনীতি করে, তারাই এটার পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে অভিযোগ করে মন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল (বুধবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, রাজধানীতে বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করা যাবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যখন মনে করিয়ে দিলো, বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করা যাবে না, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিলেন। আসলে তারা বিনা অনুমতিতে গত কিছুদিন হঠাৎ করে সমাবেশ আয়োজন করছে। আর তাদের উদ্দেশ্য আমরা দেখেছি, হঠাৎ চোরাগোপ্তা মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুর করে। অনুমতি নিয়ে তো সেটা করতে একটু অসুবিধা হয়। তাই আজকে একদিকে গুজব আরেকদিকে ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো। আসলে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক আছেন। এখানে আর সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। একইসঙ্গে সরকারও এগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করবে।’
- পিরোজপুরে ১ হাজার ১৭৫ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ঘর
- ‘প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয় পরিহার করতে হবে’
- লিভার ভালো রাখবে সয়াবিন
- করোনাকালে মোবাইল সেবার মান যাচাইয়ে নজরদারি শুরু
- ১২ বছরে দেশের অনেক পরিবর্তন করেছে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী
- মুখের কালচে দাগসহ ব্রণ দূর হবে ফলের খোসায়
- কী ঘটে নক্ষত্রের মৃত্যুদশায়, ছবিতে জানালো নাসা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে
- ঢাকার ১০৫০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি উপহার
- দই-পেঁয়াজের গ্রেভি চিকেন
- খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৯২২ হতদরিদ্র পরিবার
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল পুনর্গঠন
- টানা তৃতীয়বার বর্ষসেরা ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল
- সার্জেন্টের ওপর হামলাকারী সেই যুবক গ্রেপ্তার
- মুজিববর্ষে কক্সবাজারে ঘর পাচ্ছে ৮৬৫ পরিবার
- নিজের নামে পদ্মা সেতু, বিরোধিতা করলেন শেখ হাসিনা
- সরকার জনগণকে সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে
- টিকা সংরক্ষণের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতের নির্দেশ
- সবার আগে আমি ভ্যাকসিন নেব : অর্থমন্ত্রী
- ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৬ জনের মৃত্যু
- মুজিব শতবর্ষে মঠবাড়িয়ায় ৪০ টি ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তরে ব্রিফিং
- মঠবাড়িয়ায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- বন্দরনগরী স্থাপন-পর্যটন বিকাশে হচ্ছে পায়রা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
- বাংলাদেশকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় ভারত: জয়শঙ্কর
- পদ্মা সেতু পরিদর্শনে চালু হলো ভ্রমণতরী
- মশা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে: মন্ত্রী
- কারাগারের বদলে ৪৯ শিশুকে বই দিয়ে বাড়ি পাঠালেন আদালত
- শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে
- আল্লায় শেখের বেটিরে বাঁচায়ে রাহুক
- সর্বোচ্চ গুরুত্ব স্বাস্থ্যে ॥ আগামী বাজেটে দশ খাতে অগ্রাধিকার
- মঠবাড়িয়ায় একাধিক মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মঠবাড়িয়ায় বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ
- মঠবাড়িয়ায় ইয়াবা ও গাঁজা সহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় গত এক বছরে অর্ধ শতাধিক মাদক মামলার আসামী গ্রেপ্তার
- এসি লাগানো নৌকায় আত্মগোপনে থাকতেন ডাকাত সর্দার!
- মঠবাড়িয়ায় নলীভীম চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন
- মঠবাড়িয়ায় মুজিববর্ষে নির্মিত আশ্রয়নের ঘর পরিদর্শণ
- মুজিববর্ষে মঠবাড়িয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করলেন সংসদ সদস্য
- মঠবাড়িয়ায় সরোজিনী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন
- মুজিববর্ষেই শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসছে মঠবাড়িয়া উপজেলা
- মঠবাড়িয়ায় বলেশ্বর নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ কম্বিং অপারেশন
- রিফাত হত্যা: সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামির জামিন
- মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ তলা নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন
- নতুন করোনাভাইরাস আসলে কি?
- মঠবাড়িয়ায় বছরের শুরুতে সাড়ে ৭১ হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পাচ্ছে
- মঠবাড়িয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা চালু
- মঠবাড়িয়ায় ২টি অবৈধ ইট ভাটায় জরিমানা॥ ১টি কয়লার চুল্লী ধ্বংস
- মঠবাড়িয়ায় ১৩০ দুঃস্থ্য পরিবারের মাঝে ভিজিডি‘র চাল বিতরণ
- মুজিববর্ষে মঠবাড়িয়ায় ভূমিহীনদের ঘর কাল উদ্বোধন করবে প্রধানমন্ত্রী