• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

খাদ্যশস্য মজুদের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে সরকার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২১  

দেশে খাদ্যশস্য মজুদের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে, ১৬ আগস্টের মধ্যে বোরো সংগ্রহ হবে আরো ৭ লাখ টন। সে হিসেবে আগস্ট শেষে এ মজুদের পরিমাণ ২৩ দশমিক ৬৯ লাখ মেট্রিক টন হতে পারে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে মোট মজুদের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৬৯ লাখ মেট্রিক টন। আগস্ট শেষে এ মজুদের পরিমাণ আরো বাড়বে। কারণ ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বোরো সংগ্রহ অভিযান, এই সময়ের মধ্যে আরো ৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের আশা করা হচ্ছে। ফলে সরকারি গোডাউনে খাদ্যশস্য মজুদের স্থান সংকুলান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। দেশে সিএসডি ও এলএসডি গোডাউনে বর্তমান ধারণক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন।

এছাড়া চলমান অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযানে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন ধান এবং ১ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন গম সংগৃহীত হয়েছে। গত কয়েক মাসে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম। আরও ৫ লক্ষাধিক মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় আছে।  

এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মানুষও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট ছিলো।  

তিনি বলেন, খাদ্য মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে ৩টি সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি সাইলোর নির্মাণ শুরু হয়েছে এবং চারটির টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সম্প্রতি একনেকে ৩০টি পেডি সাইলোর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৭০টি পেডি সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো নির্মিত হলে খাদ্যশস্য মজুদ নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না।

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, এই মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ মূল্য বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান সফল হওয়ার পথে। কৃষক এবার ফসলের ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি।