• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

নতুন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২১  

বেসরকারিখাতের উদ্যাক্তাদের নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট উদ্বোধন কালে তিনি এ অনুরোধ জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই সামিটে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন আর কী পণ্য আমরা উৎপাদন করতে পারি এবং আমরা রপ্তানি করতে পারি সেটাও গবেষণা করে বের করতে হবে। সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে এবং কোন কোন দেশে কী কী পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেটা অনুধাবন করে সেই পণ্য আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে পারি কিনা তাও বিবেচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে বিশেষ করে বেসরকারিখাতে, আমি তাদেরকে অনুরোধ করবো এই বিষয়টার দিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। কারণ আমাদের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ আমরা ইচ্ছা করলে পারি, সব কিছুই করতে পারি। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে, যেটা জাতির পিতা বলে গেছেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমি আশা করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্যে দেশী-বিদেশী শিল্পোক্তাতা, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে এ সব খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের নব নব দ্বার উন্মোচিত হবে, রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনে সমগ্র বিশ্বব্যাপী আজকে যে ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে তার থেকে মুক্তি পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেও আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি সেই শুরু থেকেই। কাজেই আমরা বিশ্বে প্রথম শতবর্ষের বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। কারণ বাংলাদেশ একটা ব-দ্বীপ। আমাদের আগামী প্রজন্ম তারা যেন অর্থাৎ প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা যেন একটা সুন্দর জীবন পায়। নিরাপদ জীবন পায়, সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই ব-দ্বীপটাকে উন্নত করার পরিকল্পনা এটা আমরা নিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম পাবে জাতির পিতার স্বপ্নের আত্মমর্যদাশীল, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অনেক পণ্য রয়েছে আমরা ইতিমধ্যে রপ্তানি করছি। সাত দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে আমাদের দেশের নয়টি খাত, যেমন- অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, ওষুধ, স্বয়ংক্রিয় ক্ষুদ্র প্রকৌশল, কৃষিপণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, পাটবস্ত্র ও শিল্পসহ অতি চাহিদাসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যসহ ক্ষুদ্র ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা আমি মনে করি অত্যন্ত সময় উপযোগী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে সুযোগ সৃষ্টি করছি। কারণ বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানটা কিন্তু বিবেচনা করলে যারা বিনিয়োগ করতে আসবেন তারা শুধু বাংলাদেশ পাবেন না। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের একটা সুযোগ থাকবে এই বাজারগুলো ধরার এবং রপ্তানি করার। বাংলাদেশ থেকে সারা প্রাচ্য-পাশ্চাত্য একটা ব্রিজ হিসেবে গড়ে উঠবে ভবিষ্যতে। যেটা আমাদের দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটতে আরও সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি দেশের উন্নয়নের জন্য। যদিও আমাদের অগ্রগতিটা থেমে গেল। যদি মহামারিটা না হতো করোনা যদি না হতো তাহলে হয়তো আমরা আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। করোনা মহামারি মোকাবেলার জন্য, আমার দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় বা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে থমকে না যায় তার জন্য আমরা প্রায় এক লাখ সাতাশি হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি। এমনকি যাতে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে রাখতে পারেন আবার মানুষও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য আমরা রেখেছি। এখন আমরা টিকা দেওয়াও শুরু করেছি। কাজেই মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এটা আমাদের কর্তব্য।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আমরা একটা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছি। যাতে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও সেটা ব্যবহারে সক্ষম হয়। আমাদের চট্টগ্রাম পোর্টকে উন্নত করছি, মংলা পোর্ট এবং নতুন একটা পোর্ট করেছি পায়রা পোর্ট। সেটাও গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে।