• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

এবার কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

করোনার প্রথম পর্যায়ে শিশুদের আক্রান্তের কথা খুব বেশি শোনা যায়নি। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর থেকে শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে শিশুরা করোনাভাইরাসে প্রবলভাবে আক্রান্ত হচ্ছে না— এমন ধারণাই দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরনের পর ওমিক্রনেও শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি।

চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের দেশে ডেল্টা ধরন থেকে শিশুদের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলেও এই শীতে কোভিড থেকে রক্ষা করা বেশ কঠিন হয়ে উঠছে। গতবছর এই সময়ের তুলনায় এবছর হাসপাতালে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তবে শিশুদের সাবধানে রাখার বিকল্প নেই। এটা কেবল ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয় নয় বরং করোনাভাইরাসের আরও আগ্রাসী ধরনের যাতে আবির্ভাব না ঘটে তা ঠেকানোর জন্যও এটা প্রয়োজন।

২০২০ সালের মার্চ থেকে এবছর জুন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় অর্ধেক শিশুর (৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ) পূর্বে থেকে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল না বলে জানিয়েছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।

এদিকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, টিকা নেওয়ার জন্য তাদের আর নিবন্ধন লাগবে না। পরিচয়পত্র বা কোনোভাবে পরিচয়ের প্রমাণ দিলেই শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে।

শিশু আক্রান্ত বুঝবেন কীভাবে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন ধরন ওমিক্রন ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে। পুরো বিশ্ব ফের নতুনভাবে সতর্কতা জারি করছে। এ অবস্থায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাত বছরের শিশুর শরীরে মিলেছে এই নতুন এ ধরন। টেস্টের কারণে আমাদের দেশে কারণ কম জানা গেলেও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলেন, আমাদের শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের অসচেতনতার কারণে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।

বড়দের মতোই শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এগুলো অন্যান্য ভাইরাসের উপসর্গও হতে পারে। এ কারণে উপসর্গগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জ্বর বেশিদিন থাকছে কিনা, কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা, খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো করছে কিনা, অ্যাক্টিভিটি ঠিকঠাক আছে কিনা- সব লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে মনে হলে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত শিশুদের ক্লান্তি, দুর্বলতা, শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খাবারে স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া ইত্যাদি লক্ষণও থাকতে পারে।

তবে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে কিংবা আক্রান্ত হতে পারে এমন পরিবেশ থেকে শিশুদের দূরে রাখতে সর্তকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

মুগদা কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ শিমুল বলেন, ওমিক্রনের মাইল্ড সিম্পটম। বেশি ভুগতে হচ্ছে না বলে টেস্ট কম হচ্ছে। শিশুদের টেস্ট প্রায় করানো হয় না বলেই ঠিক কতজন আক্রান্ত তা ডকুমেন্টেড না।

প্রতিবছরের অভিজ্ঞতা থেকে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে তিনি আরও বলেন, শীতে বেশি রোগী থাকে না। এবছর অন্যান্য যে কোনও বছরের তুলনায়  হাসপাতালে শিশু রোগী বেশি।