• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

প্রশংসায় ভাসছেন আইনমন্ত্রী, ছবি ভাইরাল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২  

মই বেয়ে উঠে  আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ দেখলেন আইনমন্ত্রী, কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না যাচাই করলেন। এরপরে বললেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এমন তৎপরতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন। মই বেয়ে উঠে কাজ পর্যবেক্ষণের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। নেটীজেনরা মন্ত্রীর এমন কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। জানাচ্ছেন 'স্যালুট। '

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে। এরপরেই কাজ ঘুরে দেখেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। এ সময় তিনি মই বেয়ে ওপরে উঠে প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ঘর দেখেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আখাউড়ার ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে অনিয়মে জড়িত থাকার কারণে বদলি করা হয়েছে বলে মন্ত্রী নিশ্চিত করেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ শুক্রবার (২৭ মে) সকাল পৌনে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামে চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। এর আগে মন্ত্রী মহানগর প্রভাতি ট্রেনে করে আখাউড়ায় আসেন।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন, পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী সড়কপথে কসবায় যান।

 জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলায় ইউএনও রুমানা আক্তার ও এসি ল্যান্ড সাইফুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

গত ২৮ এপ্রিল সরেজমিন পরিদর্শন করে আখাউড়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম পেয়েছে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। নিয়ম অনুযায়ী রড না দেওয়াসহ অন্যান্য অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮৮টি ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।

পরে ইউএনও রুমানা আক্তারকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলামকে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বদলি করা হয়। একজন ঠিকাদারকে ইউএনও ১৬৯টি ঘর দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।