• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

বাংলাদেশ ইউনস্ক্যাপ’র চারটি পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২  

বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ২০২২-২৫ মেয়াদে এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউনস্ক্যাপ)-এর চারটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছে।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্র ফিজির সভায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউনস্ক্যাপ-এর উপ-আঞ্চলিক অফিস এবং চীনের বেইজিংয়ে জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে একযোগে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ভারত ছাড়া বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি ইউনস্ক্যাপ-এর চারটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়।

চারটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান হল জাপানের মাকুহারিতে অবস্থিত স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এসআইএপি),  কোরিয়ার ইনচিয়ন সিটিতে অবস্থিত এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি), চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত সেন্টার ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল মেকানাইজেশন (সিএসএএম) এবং ইরানের তেহরানে অবস্থিত এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অব ডিজ্যাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (এপিডিআইএম)।

ইউনস্ক্যাপ-এর পাঁচটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলো তাদের লক্ষ্য অর্জনে ইউনস্ক্যাপ-এর মূল বিভাগগুলোকে সহায়তা করে। প্রতিটি আঞ্চলিক ইনস্টিটিউটের একটি গভর্নিং কাউন্সিল থাকে এবং তারা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করার পাশাপাশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং কর্মসূচি প্রণয়নের বিষয়ে ইনস্টিটিউট পরিচালকদের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিজয় এশিয়া-প্যাসিফিক নেতৃত্ব জাতিসংঘের এই বৃহত্তম সংস্থায় বাংলাদেশের নেতৃত্বকে কতটা মূল্যায়ন করে তার এক উজ্জ্বল প্রমাণ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই বিজয় আমাদের ‘উন্নয়ন মডেলের’ প্রতি আস্থাও প্রতিফলিত করে, যা এক অদম্য চেতনায় অগ্রসর হচ্ছে। এমনকি কোভিড-১৯-এর ধকল থেকেও দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখাচ্ছে এবং একটি দুর্দান্ত গতিতে পরিবর্তন শুরু করেছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলে সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং অর্থ ও অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ পাবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তরর, আইসিটি, কৃষি, পরিসংখ্যান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরো বেশি গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।