• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

গ্যাস মেলেনি ‘কাঞ্চন’-এ, ‘তিতলী’র খনন অক্টোবর-নভেম্বরে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনাময় এসএস-৪ ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খনন শুরু করে পেট্রোবাংলা। প্রথম কূপটির নাম দেওয়া হয় ‘কাঞ্চন’। পেট্রোবাংলা বলেছিল, চলতি বছরের প্রথম দিকেই জানা যাবে ওই কূপে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। চার কিলোমিটারেরও বেশি গভীর পর্যন্ত খুঁড়ে সেখানে গ্যাসের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এবার এসএস-৪ ব্লকের অগভীর সাগরে আরেকটি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিতলী’। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে এই কূপ খননের কাজ শুরু হতে পারে।

‘কাঞ্চন’ কূপে গ্যাস না পাওয়ার বিষয়ে পেট্রোবাংলার এক মহাব্যবস্থাপক বলেন, সেখানে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। এখন আরেকটি কূপ খনন করে গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় পর ২০১৪ সালের দিকে সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয় সরকার। তখন কুতুবদিয়া অঞ্চলের ব্লক এসএস-৪ ও এসএস-৯ নামের দুটি ব্লকে পরপর তিনটি কূপ খনন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে ভারতের গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদক কোম্পানি ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) হয়।

সেই চুক্তিতে শর্ত ছিল, যদি গ্যাস পাওয়া যায়, তারপর সরকারের সঙ্গে উত্তোলিত গ্যাসের পার্সেন্টেসের চুক্তিতে আসবে ওএনজিসি বিদেশ। চুক্তি অনুযায়ী গ্যাস উত্তোলন করে তারা নিজেদের খরচ পুষিয়ে নেবে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া গেলে তাদের কোনো প্রকার খরচ দেওয়া হবে না।

জানা যায়, এসএস-৪ ও এসএস-৯ ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও মাঠপর্যায়ের কাজ দেয় তৃতীয় পক্ষকে। তাদের কাছ থেকে প্রথম কূপ খননের কাজ পায় অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড। ২০২০ সালে ‘কাঞ্চন’ কূপ খননের কথা ছিল অয়েল ইন্ডিয়ার। কিন্তু করোনার কারণে সে বছর কাজ শুরু করা যায়নি। মহামারি কিছুটা সামলে ওঠার পর গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয় ‘কাঞ্চন’ কূপ খনন।

এই কূপ খুঁড়ে অয়েল ইন্ডিয়া বিফল হওয়ায় এখন ওএনজিসি একই ব্লকে আরেকটি কূপ খননের কাজের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, অগভীর সাগরে খনন করতে যাওয়া এই কূপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিতলী’। যার জন্য আগের মতোই শর্ত রেখে টেন্ডারসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

পেট্রোবাংলার অনুসন্ধান বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ফারহানা শাওন বলেন, ‘একটা কূপ খনন করা হয়েছে। কাঞ্চন নামের এ কূপের গভীরতা ছিল ৪ হাজার ২২৮ মিটার। এটিতে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। আমরা এখন দ্বিতীয় কূপটা খনন করবো। সেটি হবে সাগরের অগভীরে। দেখি সেটিতে কী হয়।’

গ্যাস না পাওয়া যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একটা কূপ খনন করার মানে তো এই নয় যে, সেখানে গ্যাস থাকতে হবে। আছে কি না সেটা দেখার জন্যই তো আমরা খনন করি। যদি থাকে তবে ভালো, না থাকলে তো নাই। যে কোম্পানি খনন করছে, গ্যাস না পাওয়া গেলে তাদের তো আর কোনো খরচ দিতে হচ্ছে না।’

অগভীর সাগরে আরেকটি কূপের খনন চলতি বছরের শেষ দিকেই শুরু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় খননের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। টেন্ডার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেই এ বছরের শেষ দিকে অক্টোবর-নভেম্বরে খনন শুরু হবে।’