• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশে হবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী এবং স্মার্ট শিল্প কলকারখানা। ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে রোবোটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈবপ্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬-২৮ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির জাগরণ তৈরি হয়েছে। এর সুফল হিসেবে রূপকল্প-২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর উন্নত রাষ্ট্র ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন রূপকল্প ২০৪১-এর মূল লক্ষ্য। জনকল্যাণে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার, ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৫জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তিবান্ধব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা ব্যবহার করতে শুরু করেছি বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সেবা।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, সব উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সব জেলায় জেলা তথ্য বাতায়ন এবং সারাদেশে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৮,৫০০টি ডাকঘরকে পোস্ট ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর করা হয়েছে। করোনাকালে ভিডিও কনফারেন্সিং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রতিটি খাতে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ এর মাধ্যমে দেশের জনগণ টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও অবহিত হবেন এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করবেন। আমি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।