• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি পরামর্শক কমানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩  

সরকারি প্রকল্পে আমদানি করা যানবাহনের পরিবর্তে প্রগতি থেকে স্থানীয়ভাবে সংযোজিত যানবাহন ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের প্রবণতা কমানো এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিজ সংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।


সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকের প্রকল্পগুলোর বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবারও কোনো জমি অলস না রেখে চাষের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিলেট অঞ্চলে এখনো অনেক জমি অলস পড়ে থাকে। চাষাবাদ হচ্ছে না। সেসব জমি চাষের আওতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উপকূলীয় অঞ্চলের চিংড়ি ঘেরের মালিকদের প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ঘেরের মালিকেরা যেন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং ঘের থেকে বালু পরিষ্কার করতে পারে। এছাড়া তিনি বিদেশি জাতের মাছের পরিবর্তে স্থানীয় জাতের মাছ চাষে বেশি মনোযোগ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

দেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। মার্চে সেটি আরো বাড়তে পারে।

আসন্ন রমজানে মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা প্রদান করেছেন কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশি করে পণ্য কেনার প্রবণতা রয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রবণতা রোধ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

একনেক সভায় গতকাল ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে পাঁচটি সংশোধিত। নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ এবং সংশোধিত প্রকল্পে বাড়তি বরাদ্দ মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প এবং বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প; সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্য প্রজেক্ট ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অব ইক্যুইপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন প্রকল্প, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।