• বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০

  • || ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

পিরোজপুর সংবাদ

আপাতত বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম, ভুগতে হবে না লোডশেডিংয়ে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩  

নাভিশ্বাস উঠা বাজারে কিছুটা স্বস্তির খবর - আপাতত বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম। সেই সঙ্গে দেশের মানুষকে ভুগতে হবে না লোডশেডিংয়েও। তথ্যটা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিদ্যুতের দাম ও লোডশেডিং নিয়ে কথা বলছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সময় সংবাদ
বিদ্যুতের দাম ও লোডশেডিং নিয়ে কথা বলছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সময় সংবাদ
আতিকুর রহমান তমাল

২ মিনিটে পড়ুন
শনিবার (১ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জে একটি সেচ খাল পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলেন।

 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসন্ন গ্রীষ্ম এবং চলমান সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সংকট যেমন হবে না, তেমনি দামও বাড়বে না। বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ। এ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।
 
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা কি বলেছি প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়াব? আমরা তো সেটি বলিনি। আমরা প্রতি মাসে সমন্বয় করব, সে সময়ে বিদ্যুতের দাম কমতেও পারে, আবার বাড়তেও পারে। আমরা এ বিষয়টি নজরদারি করছি। এখন জ্বালানির সঙ্গে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের চেষ্টা করছি। বর্তমানে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী নয়। আর যদি জ্বালানির দাম ভালো অবস্থায় থাকে, তা হলে তো বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে না।’  
 
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল বিদ্যুতের দাম
 
লোডশেডিং না হওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধরে রেখেছি যে ১৬ থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে। আমরা সেটি সরবরাহ করতে পারব। আমার মনে হয় না, আমাদের মারাত্মকভাবে লোডশেডিংয়ে যেতে হবে। তবে কোথাও যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে হয় তো কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আমরা আশা করছি, আমরা চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারব।’
 
একদিকে চলছে সেচের ভরা মৌসুম; অন্যদিকে গ্রীষ্মের আগেই এবার শুরু হয়ে গেছে রমজান। তাই গ্রাম থেকে শহর - সব ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সে হিসেবে লোডশেডিং নেই বললেই চলে। এ মুহূর্তে লোডশেডিং না থাকলেও, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের প্রত্যেক মাসেই দাম বাড়ানোর কথাই বাস্তব হয়েছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে যে কোনো সময় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা হাতে আসার পর সবশেষ ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ে, যা মার্চে কার্যকর হয়। তবে ফেব্রুয়ারির সেই আদেশই এখন পর্যন্ত বহাল আছে। মার্চে নতুন করে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
 
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সারাদেশে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ছিল প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট, যা সন্ধ্যায় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৪ হাজারে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ওয়েবাসইটের তথ্য বলছে, এ চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা গেছে। বর্তমানে ইউনিটপ্রতি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের গড়মূল্য ৮ টাকা ২৪ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৭ টাকা ৮৫ পয়সা এবং জানুয়ারিতে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।