নির্ধারিত সময়ের আগেই মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পরিকল্পনা
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নির্মাণ হচ্ছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জাইকা) সহায়তায় নির্মাণাধীন প্রকল্পটির বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দর নির্মাণকাজের ভৌত অগ্রগতি ৯১ শতাংশের বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত বাকি প্রকল্পগুলো মিলিয়ে সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কমিশনিংয়ের কথা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। তবে বর্তমানে যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে, তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরাও চাইছেন নির্ধারিত সময়ের আগেই তা শুরু করে দিতে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে কেন্দ্রের কমিশনিং সংক্রান্ত নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। তবে এর সঙ্গে আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে উৎপাদন চালু করা সম্ভব।
সিপিজিসিবিএল সূত্রে জানা গেছে, প্যাকেজ ১ ও ২-এর আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দর নির্মাণ, চ্যানেল রিভেটমেন্ট, সেডিমেন্ট মিটিগেশন ডাউক, সিওয়াল নির্মাণ এবং ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনি নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রের পাওয়ার হাউজ, বয়লার, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও ফ্যাসিলিটিজের নির্মাণকাজ চলমান। এর আগে মাতারবাড়ীর বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে চকরিয়া-মাতারবাড়ী ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন ও মাতারবাড়ী ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিজিসিবিএলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার আগেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেটিকে সামনে রেখে দ্রুতই কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টেস্টিং ও কমিশনিং হবে। এছাড়া মাতারবাড়ী পোর্টের কাজও প্রায় শেষ দিকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেটি দ্রুত হস্তান্তর করা হবে।
ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় সম্প্রতি পায়রা ও রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। তাই মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্রুতই উৎপাদনে আসার সুখবর দিলেও জ্বালানি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জাপানের সিংহভাগ অর্থায়নে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে। ফলে কয়লার ব্যবস্থাও তারা করছে। পরবর্তী সময়ে সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
সিপিজিসিবিএল সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প। এটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরু থেকেই কাজ চলছে বিশেষ তদারকির মাধ্যমে। তবে এ প্রকল্পে শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্রই নয়; এর আওতায় কেন্দ্রের কয়লা লোড-আনলোড জেটি, টাউনশিপ, সঞ্চালন লাইন এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত। ফলে একই সক্ষমতার অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে এটি ব্যয়বহুল।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকার অর্থায়ন রয়েছে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। বাকি ৭ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব অর্থায়ন। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি মেনে নির্মিতব্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য ১ হাজার ৬০৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে মাতারবাড়ী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসালট্যান্ট (এমজেভিসি)। প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শ অনুযায়ীই প্রণয়ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দরের নকশা। এ প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানের সুমিতোমো করপোরেশন, তোশিবা করপোরেশন ও আইএইচআই করপোরেশনের কনসোর্টিয়াম। এছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার জন্য মাতারবাড়ী-মদুনাঘাট ১০০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ লাইন প্রস্তুত করা হয়। এরই মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে পিজিসিবি। বতর্মানে লাইনটি মাতারবাড়ী থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ‘মাতারবাড়ী থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার জন্য লাইনটি পুরোপুরি প্রস্তুত। বর্তমানে এ সঞ্চালন লাইন দিয়ে পিজিসিবি বাঁশখালী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। মাতারবাড়ী চালু হলে এ লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
দেশে বর্তমানে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে। এর একটি পটুয়াখালীর পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট এবং অন্যটি বাগেরহাটের রামপালে একই সক্ষমতার মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনে রয়েছে। মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এলে দেশে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বৃহৎ তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে।
বিদ্যুতের নীতি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বর্তমানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ৩ হাজার ৪৭২ মেগাওয়াট। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এলে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে ৪ হাজার ৬৭২ মেগাওয়াট। আর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট।
দেশে বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দ্রুত উৎপাদনে আসলে বাংলাদেশ ব্যয়বহুল জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, ‘জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় খরচ কম হলে কোল পাওয়ার প্লান্ট আর্থিকভাবে বিপিডিবিকে সাশ্রয়ী করবে। আর তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কমালে কয়লা অন্তত তিন-চার বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বস্তি দেবে। ২০২৭ সালের মধ্যে সাত হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এরই মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বাঁশখালীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এলে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। কয়লার জোগান নিশ্চিত ও সাশ্রয়ী মূল্য পেলে এবং সার্বক্ষণিক এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানো গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুবিধা দেবে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- মঠবাড়িয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের নতুন তালিকা প্রকাশ করলো ফোর্বস
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?