শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে দেশ
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পথ পরিক্রমার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
শেখ হাসিনার মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা আর সুযোগ্য নেতৃত্বে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশের পথে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)।
তিনি ১৯৪৭ সালের এদিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই শুরু হয় শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পথচলা। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা।
দেশে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিল তার স্বর্গীয় পদচারণা। ছাত্রলীগ থেকে তিনি ইডেন মহিলা কলেজের নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি চারবার প্রধানমন্ত্রী এবং তিনবার জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের নেতার দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ৪৩ বছর ধরে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশন এবং উন্নয়নশীল ও মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। যুযোপোযোগি ও সুদূর প্রসারী বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি দেশকে এগিয়ে যাচ্ছেন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন কর্মসূচি তিনি তৈরি করে দিয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের পর এখন তিনি বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে উন্নীত করারও কর্মসূচি নিয়েছেন।
এদিকে দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় এবং দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই পার এমনকি বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। বোমা, গুলি, গ্রেনেড তাকে বার বার তাড়িত করেছে। কারা নির্যাতনও ভোগ করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শেখ হাসিনাকে কখনও সামরিক, স্বৈরশাসন, কখনও সাম্প্রদায়িকতা আবার কখনও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার এ সংগ্রাম আজও অব্যাহত আছে। সব ধরনের প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সময় তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই জেলখানায় বাবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের সময় তখন অনেক রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের খোঁজখবর বঙ্গবন্ধুর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা এনে পৌঁছে দিয়েছেন দলের নেতাদের কাছে। মা
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পাশাপাশি তিনিও এ দায়িত্ব পালন করছেন। এভাবেই শুরু হয় শেখ হাসিনার রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা। তিনি ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে ছয় দফা ও পরে ১১ দফা আন্দোলন এবং ৬৯- এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক দেশি-বিদেশি চক্র বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সপরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। তখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে বেলজিয়ামে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নির্বাসিত অবস্থায়ই শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেও এবং তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার সফল দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ বর্তমানে টানা তিনবার এবং সবমিলিয়ে চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে।
তিনিও টানা তিনবারসহ মোট চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গীপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্ট থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বসবাস শুরু করেন।
১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশীবাজারের ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। কারাবন্দি বাবা বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর শেখ হাসিনা বেলজিয়াম থেকে জার্মানি আসেন। পরে সেখান থেকে ভারতে এসে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে থাকেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি ভারত থেকে দেশে ফেরেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে দলের সভাপতি করা হয়। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক চ্যালেঞ্জিং জীবন। এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার তিনি শত্রুর আক্রমণের শিকার হন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাকে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি মিথ্যা মামলায় কারা নির্যাতন ভোগ করেন। আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতার পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রপরিচালনায়ও সফল হন। সফলতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে নানা পুরস্কার ও সম্মানসূচক ডিগ্রিতে ভূষিত হন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে তিনি এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেয়েছেন। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারটি দেয়।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে জাতিসংঘে মর্যাদাপূর্ণ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার পেয়েছেন। তারুণ্যের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সম্মাননা দিয়েছেন।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য’ এ ভূষিত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে যে মানবিকতা ও বদান্যতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি উদাহরণ। বিশ্বদরবারে সব মহলে প্রশংসিত হয়ে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
- ‘নির্বাচন এলে কিছু দেশ আমাদের বিরুদ্ধে লাফালাফি শুরু করে’
- ঢাকায় ২৬৫ মনোনয়নপত্র বিতরণ, দাখিল ৩৯
- ময়মনসিংহে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন বিএনপির সাবেক দুই এমপি
- বস্তিবাসী শিক্ষার্থীদের ১ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা
- আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইব : শাজাহান খান
- শেষ হচ্ছে মনোনয়নপত্র দাখিল
- স্ত্রীর মরদেহ বাঁধে ফেলে যাওয়া সেই স্বামীর ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
- মাইক্রোবাসে মিলল ২০ হাজার পিস ইয়াবা
- তৃণমূল বিএনপির মনোনয়নপত্র কেনায় বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার
- তিন প্রতিষ্ঠানে নতুন ডিজি
- চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচে মিলল সাড়ে ৩ কোটি টাকার সোনা
- সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৪
- কপ-২৮ : দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন শুরু আজ
- ১৬তম আয়কর দিবস আজ
- কর দেওয়া সহজ করতে এনবিআরকে কার্যকর অবদান রাখতে হবে
- এনবিআর সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে
- প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ৩ সুন্নত
- জামিন নামঞ্জুর হলো বিএনপি নেতা আলালের
- ডিমের বিকল্প পুষ্টি আছে যেসব খাবারে
- সকাল, দুপুর নাকি রাত, কোন সময়ে ওজন মাপা ভালো?
- চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে উদ্ভাবন হলো ভারতজিপিটি
- বানিয়ে ফেলুন চিংড়ি ভর্তা, দেখুন রেসিপি
- ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, ৪ জন গ্রেফতার
- সংবিধানের বাইরে গিয়ে সুযোগ নেই ভোটের: সিইসি
- মেলেনি মির্জা আব্বাসের জামিন
- পদ্মা সেতুর প্রভাবে বড় প্রবৃদ্ধি সরকারের টোল রাজস্বে
- বিএনপির অনেকেই হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী
- ‘তথ্যভাণ্ডার হচ্ছে বিদেশফেরত কর্মীদের’
- কোটি টাকার বেশি জামানত মূল্যায়ন করবে সার্ভেয়ার কোম্পানি
- বাংলাদেশকে ১০৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
- মঠবাড়িয়ায় বিদেশী দুটি পিস্তল ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
- পিরোজপুর মাদকসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- মঠবাড়িয়ায় দুই ওষুধ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড
- মঠবাড়িয়ায় ৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ
- জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ঋণ বিতরণ
- সড়কে অবৈধ গাড়ি পাকিংয়ের দায়ে ২ চালকের জরিমানা
- স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম অব্যাহত পুলিশি অভিযান
- চাচা প্রবাসে থাকায় চাচির সঙ্গে পরকীয়া, অতঃপর...
- মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রী ইতি হত্যা মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন
- মঠবাড়িয়ায় বিএনপি-যুবদলের ৯ নেতা-কর্মি গ্রেপ্তার
- সরকারি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করলো প্রশাসন
- ভাতিজার স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ধরা খেলেন চাচা শ্বশুর
- মঠবাড়িয়ায় ২‘শ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ
- কৃষিতে নীরব বিপ্লব
- পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, আটক ২
- গুড় আসল না নকল, বুঝবেন যেভাবে
- বাজারে শীতের সবজি, স্বস্তি ব্রয়লারে
- আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাড়বে কৃষি উৎপাদন
- মঠবাড়িয়ায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপর
- মঠবাড়িয়ায় আশরাফুর রহমান নৌকা প্রতীক পাওয়ায় আনন্দ মিছিল