• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৩  

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে পাঁচ সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ম বিশেষ ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে সম্প্রচারিত ভাষণে (পূর্বে রেকর্ডকৃত) এ পরামর্শ দেন তিনি।

গত ৯ নভেম্বর থেকে রিয়াদে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নৃশংস ও নজিরবিহীন আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এই শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পরিচালিত জঘন্য একতরফা যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতি’ দরকার। এই যুদ্ধ অন্যায্য এবং এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্মম লঙ্ঘন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা জ্বলছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত বিধ্বস্ত গাজার আটকেপড়া বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবিচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য অবিলম্বে একটি মানবিক করিডোর খোলার প্রয়োজন রয়েছে।


তিনি বলেন, ‘বিরামহীন ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার এ সময়ে মনে হচ্ছে- আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখে অচল হয়ে পড়েছি। অন্তত একটি নিরাপদ মানবিক করিডোরের জন্য দ্রুত কাজ করা দরকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। এই ধরনের জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিত। যেন গাজায় যাদের বাড়িঘর রয়েছে তারা আবারও তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।

তিনি বলেন, চতুর্থত জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোডম্যাপে সম্মত  হওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনরায় দেখে নেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। যা এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি আনবে।

পঞ্চম পরামর্শে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা (ফিলিস্তিনিরা) আমাদের ভাই ও বোন, যারা গত ৫৫ বছর ধরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং নিজস্ব মাতৃভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এখন সময় এসেছে সবাই একসাথে তাদের পাশে দাঁড়াই।

এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বৈঠকটি ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ বন্ধের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।