• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

সিনহা হত্যা মামলা: ৪র্থ সাক্ষীকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ৪র্থ সাক্ষী কামাল হোসেনকে দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার ২য় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর আগে রোববার ৩নং সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পর্যায়ক্রমে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ আসামিদের কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, আজ সোমবার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে ৪র্থ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করবে আদালত। এর আগে রোববার ৩নং সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। 

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১নং সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। 

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামী টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

আসামীদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।