• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার অভিযোগ গঠন শুনানি ৪ নভেম্বর

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২১  

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। 

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। তবে আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। 

গত ১৮ মার্চ  মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা যাওয়ায় আইনজীবী আদালতকে অবহিত করেন। এরপর গত ২৫ মার্চ গুলশান থানা-পুলিশ আদালতে মওদুদের মৃত্যুর বিষয় প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

এর আগে, গত ২ মার্চ আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৫ ধারায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিলের আবেদন করা হয়। এরপর শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে খালেদার পক্ষে তার দুই আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। 

এদিন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আংশিক শুনানি করেন। এরপর আদালত অবশিষ্ট শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নিকয়র সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন। 

২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়। দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।