• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

২২ কোটি টাকার কোকেন মামলায় একজনের ফাঁসি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২১  

খুলনায় আলোচিত ২২ কোটি টাকার কোকেন মামলার রায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খুলনা দায়রা জজ আদালতের পিপি এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে আসামি বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলি‌য়ে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জ‌রিমানার আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া সো‌হেল রানা‌কে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জ‌রিমানা, ছ‌গিরকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জ‌রিমানা, অনাদা‌য়ে ২ বছ‌রের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল, এরশাদ ও ফজলুর রহমান ফ‌কিরকে ১০ বছ‌রের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জ‌রিমানা, অনাদা‌য়ে আরও এক বছ‌রের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট (শুক্রবার) খুলনা মহানগর ও দাকোপ উপজেলায় রাতভর অভিযান চালিয়ে সোয়া ২ কেজি কোকেনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা।

উদ্ধার করা কোকেনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। চক্রটি দেড় বছর ধরে কোকেন বিক্রির চেষ্টা করছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়লাপোতা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে ২৩০ গ্রাম কোকেনসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গগনবাবু রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে কোকেন বিক্রির মূল হোতা আরিফুর রহমান ওরফে ছগিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দাকোপ উপজেলায় রাত ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ও ফজলুর রহমান ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে টুটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এস এম এরশাদ আলীকে ধরা হয়। এরপর রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছে ৩টি প্যাকেটে ২ কেজি ২০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়।

র‌্যাব জানায়, চক্রটি দেড় বছর ধরে এ কোকেন বিক্রির জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারেনি। তবে বিক্রির প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন স্থানে কোকেন সরবরাহ করেছে। উদ্ধার করা কোকেন পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত খাঁটি।