• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মাদক মামলায় পরীমনির অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ জানুয়ারি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২২  

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আত্মসমর্পণ করে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।

রোববার (২ জানুয়ারি) ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইয়ুবুর রহমান মারা যাওয়ায় আদালত পূর্ণ দিবস মুলতবি করা হয়। এজন্য আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর একই আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিন পরীমনি অসুস্থ হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হননি। এজন্য তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ২ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করেন।

সেদিন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেছিলেন, পরীমনির মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। পরীমনি হঠাৎ ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আমরা সময়ের আবেদন করি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

এরপর মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি পাঠানো হয়। পরদিন ১৩ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র‍্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন। এ মামলায় পরীমনিকে তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত তাকে জামিন দেন।