• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা, ৭ জনের যাবজ্জীবন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২২  

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাতজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় আসামি মো. সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন- মো. মুরাদ, জাকির হোসেন, মো. কামাল, আলমগীর হোসেন, মো. রিপন ও মো. নিশান। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহসান উল্যা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার হাবুল্লার ফলের দোকানে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে তার পেট ও পিঠে গুলি করে তারা। পরে আহসান উল্যার ছেলে ও স্ত্রীসহ স্বজনরা ঘটনাস্থল গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু কাউকেই তারা চিনতে পারেনি।

এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্যার পাশে আসামিদের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক আহসান উল্যাকে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ জুলাই তার ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা  করেন।

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৬ জুন ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করেন। তখন মো. কামাল ও আলমগীর হোসেন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। পরে জামিন নিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।