• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (চার্জ) করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
 

এর আগে ২৯ আগস্ট দুদকের আইনজীবী ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি করেন। এরপর আসামি অবন্তিকা বড়াল ও সুকুমার মৃধার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শেষ করেন।

এরপর অপর আসামি শঙ্খ বেপারী ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে আংশিক শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। এদিন তাদের পক্ষে শুনানি শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার চার আসামি- অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার), পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় ওই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছেন না।

প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

টাকা বের করার আগে শেয়ার কিনে তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই আর্থিক কেলেঙ্কারি জানাজানি হয় ২০২০ সালের শুরুতে। আর তিনি দেশ ছাড়েন ২০১৯ সালের শেষ দিকে। পলাতক থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।