• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে অবৈধ জাহাজ চলাচল বন্ধে রুল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩  

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে অবৈধভাবে অনুমোদনবিহীন জাহাজ চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করা ফিটনেসবিহীন সব জাহাজ ও নৌ-যানের বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌপথ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ-কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জোসনা পারভীন।

এর আগে রোববার (২৫ নভেম্বর) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে অবৈধভাবে অনুমোদনবিহীন জাহাজ চলাচল বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন রামপুরার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে অবৈধ জাহাজ চলছে শিরোনামে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, ‘টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কয়েকটি জাহাজ। নিয়ম লঙ্ঘন করে এসব জাহাজ চলাচলের কারণে মিয়ানমার সীমানা এলাকায় ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে ভরা পর্যটন মৌসুমে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে এই রুটে চলাচল করার উপযোগী নয় এমন দুটি জাহাজ গত দুই বছর ধরে চলাচল করছে। এসব জাহাজের বেক্রসিং সনদ বা সমুদ্রসীমা অতিক্রম সনদ নেই। এসব জাহাজ নদীপথে চলাচলের অনুমোদন থাকলেও একটি চক্র কমদামে ভাড়া করে অধিক লাভের আশায় বঙ্গোপসাগরের মতো উত্তাল সমুদ্রপথে জাহাজ পরিচালনা করে আসছে।

জানা গেছে, নদীতে চলাচলের জন্য তৈরি করা জাহাজ, বিভিন্ন তথ্য গোপন করে একটি অসাধু চক্র বঙ্গোপসাগরের মতো উত্তাল পথে (টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে) পর্যটকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকা শর্তেও আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ পরিচালনা করে আসছে। এসব অবৈধ জাহাজ চলাচলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে মিয়ানমার সীমান্তে বড়ধরনের দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে কক্সবাজারের পুরো পর্যটন শিল্পের উপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।