• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

কুড়িয়ে পাওয়া ‘ব্রিটিশ হ্যান্ড গ্রেনেড’ নিষ্ক্রিয় করলো পুলিশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৪  

চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় কুড়িয়ে পাওয়া দুটি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা গ্রেনেড দুটি নিষ্ক্রিয় করেন। এগুলো ব্রিটিশ হ্যান্ড গ্রেনেড বলে জানিয়েছে সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিরসরাইয়ে ড্রেনের পানিতে ভেসে আসা গ্রেনেডটি লোহার বস্তু ভেবে সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখেন এক তরুণ। কয়েকদিন আগে একই ধরনের একটি বস্তুকে গ্রেনেড হিসেবে নিষ্ক্রিয় করার খবর জানতে পেরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। অন্যদিকে সীতাকুণ্ডে গ্রেনেডটি বাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্য সঞ্জয় গুহ জানান, রোববার সকালে সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তমিজ উদ্দিন সেরাং বাড়ির বাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আরাফাত হোসেন রাব্বি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯-এ ফোন করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে।

এর আগে শনিবার (১৮ মে) রাত ৮টার দিকে তানভীর হোসেন নামে এক তরুণ ৯৯৯-এ ফোন করে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলি ইউনিয়নের গণকছড়া গ্রামে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি গ্রেনেড পাওয়ার তথ্য দেন। রাতেই স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তথ্য পেয়ে সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট উভয় ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে।

পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় গুহ বলেন, তানভীর হোসেন উনার বাড়ির পাশে ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় গ্রেনেডটি দেখেন। কিন্তু তিনি সেটা কি চিনতে পারেননি। ড্রেন থেকে তুলে নিজের হেফাজতে রাখেন। ১৪ মে হিঙ্গুলি এলাকায় কবর খোঁড়ার সময় একটি গ্রেনেড পাওয়া যায়। পরদিন তা আমরা নিষ্ক্রিয় করেছিলাম। শনিবার রাতে বিষয়টি জানতে পেরে তানভীর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জোরারগঞ্জ খানা পুলিশকে অবহিত করেন।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার লেয়াকত আলী বলেন, গ্রেনেডগুলো জং ধরা। এগুলো ব্রিটিশ হ্যান্ড গ্রেনেড। ১৯১৫-১৯৭০ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছে। আমাদের ধারণা, স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে গ্রেনেডগুলো ব্যবহার করা হলেও অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে ছিল। মাটি খননের কারণে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বছরের পর বছর এগুলো রেখে দেওয়া যাবে। কিন্তু আগুনের স্পর্শ কিংবা আঘাত পেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা দরকার।