• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

ই-কর্মাস ব্যবসার নামে ৬০০ জনের কোটি টাকা আত্মসাৎ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২  

সাভারের আশুলিয়ায় একটি ই-কর্মাস ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে প্রায় ৬০০ জনের কাছ থেকে প্রতারণা করে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুব্রত রায়।

এরআগে, মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত স্বাধীন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত সোমবার (২৩ মে) চক্রটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাজু মিয়া নামে একজন ভুক্তভোগী।

গ্রেফতাররা হলেন- মাদারীপুর জেলার সদর থানার পাঁচখোলা গ্রামের  আলী হোসেনর ছেলে ইলিয়াস মৃধা (৩৬)। তিনি প্রতষ্ঠানের স্বত্ত্বাধীকারী ও অপরজন ঝালকাঠি জেলার সদর থানার দক্ষিণ মানকশা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি প্রতিষ্ঠানের ডিলার ছিলেন।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী সাজু মিয়া বলেন, একজনের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। তারা বলেছিলেন অনলাইনে তারা ওষুধ বিক্রি করেন। তাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। একটি আইডি নম্বরও খুলে দেন। লাভের একটি অংশ প্রতিদিন আমার সেই অনলাইন আইডিতে জমা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন চলে গেলেও কোনো টাকা আসে না। জানতে চাইলে তারা তালবাহানা শুরু করেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা অনলাইনে কোরো ব্যবসা করেন না। অনলাইন সাইট খুলে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেন তারা। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

তিনি আরও বলেন, আমার মতো প্রায় ৬০০ জন এভাবে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। একটি আইডির জন্য নূন্যতম ১৫০০ টাকা দিতে হয়। একেক জনের কাছ থেকে নূন্যতম ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত তারা হাতিয়ে নিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সুব্রত রায় বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার রাতে দুজনকে আটক করি। পরে প্রতারণার মামলা তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। আজ আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, এখানে ৬০০জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে চক্রটি।

তিনি আরও বলেন, টাকা হাতিয়ে নিতে অনলাইনের ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিল। তারা এখানে গত দুইবছর আগে প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। নতুন করে পাশের উপজেলা ধামরাইয়েও অফিস খোলার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।