• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

সাদা চিনিতে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে ‘লাল চিনি’ বলে বিক্রি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বেশি লাভের আশায় সাদা চিনিতে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে লাল চিনি। বিভিন্ন কোম্পানির নাম দিয়ে সেগুলো রাজধানীসহ সারাদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এ ধরনের বেশ কয়েকটি দোকান থেকে ২০০ কেজির অধিক লাল চিনি জব্দ করে ধ্বংস করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল, সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম এবং মো. শাহ আলম।

অভিযানের শুরুতে কারওয়ান বাজারের কয়েকটি খুচরা দোকানে সতেজ এবং গাংচিল নামে লাল চিনি বিক্রি হতে দেখেন ভোক্তা কর্মকর্তারা। পরে এসব চিনির মূল হোতাকে ধরতে এক খুচরা ব্যবসায়ীকে সঙ্গে নিয়ে পাইকারি বিক্রেতার সন্ধানে নামে ভোক্তা অধিদপ্তর।

কারওয়ান বাজারের আরেক প্রান্তে মেসার্স বেলায়েত স্টোর নামের পাইকারি ব্যবসায়ী এসব লাল চিনি খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে ২০০ কেজির বেশি ক্ষতিকর লাল চিনি জব্দ করা হয়।

পরে সব চিনি উপস্থিত জনসাধারণের সামনে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে কারখানায় ব্যবহারের রং পাওয়া যায়। এসব অপরাধে বেলায়েত স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ আর এন্টারপ্রাইজে ৩৯ বস্তা লাল চিনি পাওয়া যায়। প্রতি বস্তায় ২৫ কেজি চিনি রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানকে সাতদিন জনস্বার্থে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডাকা হয়।

এছাড়া টেস্টিং সল্টে আমদানিকারকের সিল এবং মূল্য লেখা না থাকায় হাফিস স্টোর এবং মহিউদ্দিন স্টোরকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ চিনি শিল্পের যে লাল চিনি রয়েছে তার আদলে সাদা চিনির মধ্যে টেক্সটাইল রং ব্যবহার করে লাল চিনি প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হচ্ছিল। এখানে দুটি প্রতিষ্ঠানে এমন চিনির পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এসব চিনি যদি কোনো ভোক্তা খায় তাহলে ক্যানসার বা কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এসব ক্ষতিকর চিনি বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব চিনি যারা প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করছে তাদের নির্ধারিত কোনো ঠিকানা প্যাকেটের মোড়কে নেই।

তিনি বলেন, তবে এসব অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা মূল উৎপাদনকারীকে ধরতে চাই।