চরিত্রহীন ছাত্রদল নেত্রী মরিয়ম মান্নান যখন ইশরাকের শয্যাসঙ্গী

সম্প্রতি রহিমা বেগমের নিখোঁজের ইস্যুটিকে বড় করে সামনে নিয়ে আসে সরকার বিরোধী একটি চক্র। আত্মগোপনে থাকা রহিমা বেগমের মেয়ে ছাত্রদল নেত্রী মরিয়ম মান্নানের ভূমিকায় ছিল যেখানে মুখ্য। ফরিদপুরে উদ্ধার হবার পর জানা যায়, নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন এই নারী। রাজনৈতিক ইস্যু সৃষ্টি করতেই মঞ্চস্থ করেছিলেন এই নাট্য।

মরিয়ম মান্নানের পরিচয় বের হবার পর সবার চোখ কপালে। মূলত তিনি ছাত্রদলের নেত্রী, যা ছিল সকলের নজরের আড়ালে।

থলের বিড়াল বেরিয়ে এলে জানা যায়, বিএনপি নেতা ইশরাকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তার গোপনে। ছাত্রদলের শয্যাসঙ্গী এই নারী, ইশরাকের ইশারাতেই করেন গুমের নাটক মঞ্চস্থের বাড়াবাড়ি।

বিএনপি সূত্র মারফত জানা যায়, ছাত্রদল নেত্রী মরিয়ম মান্নানের সঙ্গে বিএনপি নেতা ইশরাকের বন্ধুত্ব বেশ পুরোনো। বন্ধুত্বের আড়ালেই তাদের মাঝে গড়ে উঠেছে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক। যা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বও অবগত। মরিয়ম মান্নানকে কাজে লাগানোর জন্য লণ্ডন থেকে নির্দেশনা আসার পরই এই ছাত্রদল নেত্রীকে দিয়ে নিজের মাকে গুমের নাটক সাজানো হয়।

লণ্ডন থেকেই গুমের নাটকের বিষয়টিকে মনিটরিং করা হচ্ছিল বলেও জানা যায়।

এদিকে মরিয়মের প্রতিবেশীরা বলছেন, মা রহিমার এর আগে বিয়ে হয়েছিল দুইটি। রহিমার মেয়েদের চরিত্রগত সমস্যাও রয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হবার পর মরিয়ম মান্নানকে বিএনপি নেতা ইশরাকের সঙ্গেও একাধিক বার দেখেছেন তারা। হঠাৎ মরিয়মের মা নিখোঁজ হবার ঘটনা ভাইরাল হবার পর প্রতিবেশীরাও কিছুটা অবাক হন।

এ প্রসঙ্গে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, রহিমা বেগমের নিখোঁজ হবার ঘটনার ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামায়াত ও প্রথম আলো-ডেইলি স্টার গংরা। কিন্তু তাদের সব ষড়যন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে পুলিশ এই নাটকবাজ নারীকে উদ্ধার করেছে। নিখোঁজ রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করার পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ছাত্রদল নেত্রী মরিয়ম মান্নানের আসল চেহেরা। বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নেপথ্যে থেকে যারা এই নাটক সাজিয়েছেন সেই বিএনপি নেতাদের চিত্র।