• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

৩০ বস্তা ভুট্টা বিক্রি করতেই জোড়া খুন করেন তারা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩  

জুসের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর চালক ও সহকারীকে হত্যার ঘটনায় সাড়ে চার বছর পর জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের দোষ স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর সদরের খলেয়া গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের ওরফে বাবু (২৭) ও হাজীরহাট উপজেলার উত্তম বাওয়াইপাড়ার নুর হোসেনের ছেলে হানিফ ইসলাম ওরফে শুকু (২৪)।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ট্রাকচালক আল আমিন (২৪) রংপুরের ভুরারঘাট ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তার সহকারী একই এলাকার সোহেল মিয়া (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে ভুট্টাবোঝাই ট্রাক নিয়ে রংপুর শহরে আসেন চালক। রাত ৯টার দিকে চালক আল আমিন ট্রাকটি নিয়ে নরসিংদীর দিকে রওনা হন। ট্রাকের মালিক রাত ১২টার দিকে চালকের নম্বরে ফোন দিলেও তা রিসিভ হয়নি। এ ঘটনায় ট্রাক ও ভুট্টার মালিকরা চিন্তায় পড়ে যান। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকায় সড়কের পাশে থামানো অবস্থায় আছে। এরপর ১ অক্টোবর তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু সেতু থানার পুলিশের সহযোগিতায় ট্রাকের কেবিন থেকে চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় নিহত আল আমিনের ভাই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় মামলা করেন। ৪ অক্টোবর মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআইয়ের তৎকালীন পরিদর্শক রওশন আলী মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। কিছুদিনের ব্যবধানে তিনি মামলার সন্দেহভাজন আসামি রংপুরের সরদার পাড়ার আনিছুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলামকে (২৭) গ্রেফতার করেন। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য প্রদান করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এ অবস্থায় মামলার প্রধান আসামি আব্দুল কাদের ওরফে বাবুকে ২০ জানুয়ারি রাতে ঢাকার দোহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, হানিফ ইসলাম ওরফে শুকুকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৩ জানুয়ারি গ্রেফতারদের সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জানা যায়, আসামিরা চালক ও হেলপারের পূর্বপরিচিত। ট্রাক ও ভুট্টা ছিনতাইয়ের জন্যই তারা কৌশলে ট্রাকে উঠেছিলেন। পথে জুসের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর তাদের হত্যা করা হয়। এরপর ট্রাকটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে ট্রাকে থাকা ৩০ বস্তা ভুট্টা বিক্রি করেন। পরে ট্রাকের কেবিনে দুইজনের লাশ লুকিয়ে রেখে অবশিষ্ট ভুট্টাসহ ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সয়দাবাদ এলাকায় রেখে পালিয়ে যান তারা।