• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

বাংলাদেশের `বাংলা কার` লিমিটেড এর সংযোজন এবং নির্মাণ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২১  

বর্তমানে নতুন নতুন যানবাহন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাংলাদেশে বাড়লেও তা এখনো সংযোজনের পর্যায়ে রয়েছে। জাপানের মত দেশের যানবাহনের মুল আকর্ষণ তাদের গুনগতমান এবং একই সাথে জাপানীদের ক্রয়ক্ষমতা। যার দরুন তারা লেটেস্ট মডেলের টয়োটা কিংবা মিটসুবিসু বেশ কয়দিন ব্যবহার করে বিক্রি করে ফেলে। সেটিই বিভিন্ন কন্ডিশন পেরিয়ে রিকন্ডিশন হয়ে বাংলাদেশে আসে।

নির্ধিদায় আমাদের চাহিদা বাড়ার সাথে উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে আমরা আগামী কয়েক বছরে এগিয়ে যেতে পারি তবে তার জন্য আমাদের দেশীয় চাহিদার উপর নির্ভরতা বাদে আন্তজার্তিক বাজারকে ধরতে পারার লক্ষ্যমাত্রা নিতে হবে।

ইতিমধ্যে বাংলা কার দেশে তার ব্যবসা এক্সপ্যান্ড করছে এবং কোন রাখ-ঢাক ছেড়ে বিক্রিও করছে। যা আমাদের জন্য ভাল সংবাদ।

নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে সনামধন্য হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বাংলা কার লিমিটেড ইতোমধ্যে গাড়িগুলো প্রস্তুত করেছে।মুলত এখনো নির্মাণকে এসেম্বেলি হিসেবেই ধরা উচিত।তবে এটাও সত্য এসেম্বলি লাইনের জন্য দেশের অনেকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এসব যানবাহনের দাম কিছু কমেছে।

বাংলা কারকে মুলত চীনের মাদার ভেহিকল ডিএফএসকে গ্লোরি হিসেবে বাজারজাত করা হচ্ছে।

তবে আশার কথা হলো বাংলা কার লিমিটেড তাদের নিজস্ব নকশাকৃত গাড়ি এ বছর বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে পিক-আপ ট্রাক, বাস এবং পূর্ণ আকারের কনটেইনার ট্রাকও রয়েছে।

এখনো বাংলা কার লিমিটেড ইন্দোনেশিয়া থেকে ইঞ্জিন এবং জাপানের ইসুজু কোম্পানি থেকে চ্যাসিস আমদানি করছে।তবে ইলেকট্রিক ভেহিকল নিয়ে বাংলা কারের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এর বেশ আগ্রহ রয়েছে।

বাংলা কার মুলত চীনের অটো প্রস্তুতকারক “ডিএফএসকে” এবং “মা এন্টারপ্রাইজ” সরাসরি বাংলাদেশ থেকে যানবাহন আমদানি করে।আমদানী নির্ভর হলেও কিছু প্রোডাক্ট দেশেই ম্যানুফেকচারিং করতে পারলে তাতে এসব যানবাহনের দাম আরো কমত।

দেশে ইঞ্জিনের চাহিদা কম হলেও চ্যাসিস বানানোর সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।লেদার উপকরন এবং ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ,প্রিমিয়াম কাপড় এবং প্রিমিয়াম টায়ারের মত জিনিসগুলো কিছুটা চেষ্টা করলে দেশেই বানানো যায়। কারন বর্তমান সময়ে সিন্থেটিক টায়ারগুলো মুলত রবার এবং ক্যামিক্যালের সংমিশ্রণ মাত্র।

আমরা চাই দেশের শিল্প প্রায়োরিটি পাক।তবে এটিও বুঝতে হবে এসব ভেহিক্যালের দাম জাপানের রিকন্ডিশন গাড়ির সাথে কম্পিটিটিভ কিংবা টাটা,ল্যালেন্ড,হিনোর ট্রাক-বাসের সাথে প্রতিযোগীতামুলক না হলে তা থেকে লাভ করা কঠিন।

টয়োটা এবং মিটসুবিসি এর মত ফরেন মার্কেটে রপ্তানীর বিষয়গুলো নিয়েও মাথা ঘামানো উচিত।উল্লেখ্য বাংলা কার লিমিটেড সংযোজিত SUV এর মুল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।