• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বিশ্বের রোল মডেল বাংলাদেশের ৩৯ কারখানা

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১  

বিশ্বের সেরা ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানা বা গ্রীন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৩৯টিই বাংলাদেশে। এসব সবুজ কারখানা বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি শুধু উজ্জ্বলই করছে না; তৈরি পোশাকের ক্রেতা আকর্ষণেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর এসব কারখানায় কাজ করে খুশি কর্মীরাও।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কিংবা ভবন ধসে হাজারো শ্রমিকের নির্মম মৃত্যু। এক সময় বাংলাদেশের কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে এমন বার্তা মাঝে মাঝে পেত গোটাবিশ্ব। কিন্তু গত এক দশকে বদলে গেছে চিত্র।

দেশের প্রায় সব রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ এখন বিশ্বমানের। এরমধ্যে ৩৯টি অবস্থান করছে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সেরা কারখানার তালিকায়। পরিবেশবান্ধব এসব গ্রীন ফ্যাক্টরি এখন বিশ্বের রোল মডেল।

শিল্প-কারখানা থেকে কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। তাই পরিবেশবান্ধব কারখানার প্রতি ঝুঁকছেন বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা। প্রতিবছরই দেশে বাড়ছে গ্রীন ফ্যাক্টরির সংখ্যা। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির সাথে ঘটছে সবুজ বিপ্লব।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিলের দেয়া সনদে বিশ্বসেরা পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে বাংলাদেশের রেমি হোল্ডিংস শীর্ষে।

গোটা কারখানাটি সবুজে মোড়ানো। প্রতিটি জায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া। সবই পরিবেশবান্ধব। সূর্যের আলো আর সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে রেমি হোল্ডিংসে। কারখানার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলছে বিশেষ বৈদ্যুতিক পাখা।  

কর্মীরা জানান, ভেতরে আছি না বাইরে আছি তা বুঝতে পারি না। সূর্যের আলো পাই, সবদিক দিয়েই ভালো লাগে। স্কাই লাইট আছে, যাতে আমরা দিনের আলোর মতো কাজ করতে পারি।

কেবল সবুজ নয়, নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার এই কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিরা পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মানের সব সুযোগ-সুবিধা। আধুনিক মেশিনারিজে চলছে পুরো উৎপাদন কার্যক্রম।

রেমি হোল্ডিংসের জিএম (অপারেশন) বলেন, আমরা বাড়িতে ৮০ কিলোওয়ার্ডস ফ্যান ব্যবহার করি কিন্তু এখানে ৩৫ কিলোওয়ার্ড ব্যবহার হচ্ছে। ফলে এখানে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে আসছে।

বর্জ্য শোধনে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ইটিপি। সব মিলিয়ে অন্য ১০টি কারাখানার চেয়ে রেমি হোল্ডিংস সত্যিই ব্যাতিক্রম।

এদিকে, ছাদের বিশাল এলাকাজুড়ে নানা ধরণের ফুল-ফলের গাছে গড়ে তোলা হয়েছে মনোমুগ্ধকর বাগান। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বসানো হয়েছে ডে-লাইট সিস্টেম।

দেশ এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে উদ্যোক্তারা এখানে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছেন, স্বাভাবিকভাবে এখানকার উৎপাদন খরচও অন্য কারখানার চেয়ে বেশি। তাইতো ক্রেতা এবং সরকারের কাছ থেকে তারা একটু সহায়তা কামনা করতেই পারে।