• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

রেলের অত্যাধুনিক জংশন হচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দেশের রেলের সবচেয়ে অত্যাধুনিক জংশন হচ্ছে, ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। এর পুরো পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার। এ জংশন থেকে পটুয়াখালির পায়রা, বরিশাল ও যশোরে পৌঁছুবে ট্রেন। লাইনগুলোও বসবে সম্পূর্ণ নতুনভাবেই।

এমন বদলের ছোঁয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা যেন পরিচিতদের কাছেও অচেনা। এখানে চলছে দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে জংশনের নির্মাণযজ্ঞ। ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ। ১৯টি ভবনের ১১টির কাজ শুরু হয়েছে। সাজসজ্জায়, দৃষ্টিনন্দন তো হবেই থাকবে যাত্রী বান্ধব সকল আয়োজনও।

পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “ওখানে যে ১৯টি বিল্ডিংয়ের কাজ আছে তার মধ্যে ১১টির কাজ শুরু করে দিয়েছি। অন্যান্যগুলো স্টেপ বাই স্টেপ শুরু করবো। যখনই মূল স্টেশনের ডিজাইনটা পাবো তখনই কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে সয়েল স্টেট হয়ে গেছে।”

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে রেল সেবা পৌঁছেনি এমন ১০টি রুটে লাইন বাসানোর সক্ষমতা বিকশিত হচ্ছে এই কর্মযজ্ঞে। চলমান প্রকল্পের আওতায় ৬টি লাইন বসানো হচ্ছে, বাকিগুলো পরবর্তীতে বসানো হবে।

ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা দিয়ে যশোর পর্যন্ত এই প্রকল্পের দূরত্ব ১শ’ ৭২ কিলোমিটার। তবে, এতে রেল ট্যাক বসবে ২শ’ ১২ কিলোমিটার।
প্রকল্প ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “আপাতত এই প্রজেক্টের আওতায় ৬টি লেন করা হবে। এর মধ্যে একটা লাইন যাবে ফরিদপুর হয়ে যশোর-খুলনায়। যে চারটা লাইন বাকি থাকবে তা পায়রা-পটুয়াখালী-বরিশাল রুটে যাবে। এটার বিরাট একটা হাব হবে, স্ট্রাকচারগুলো হবে ইউনিক।”

পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সহকারী ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আলী বলেন, “আগামী বছরের জুন মাসে শেষ করতে চাই। তবে আমরা যেভাবে এগুচ্ছি তাতে ঠিক সময়ের আগেই কাজ সম্পন্ন হবে।”

প্রযুক্তির ব্যবহারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এই জাংশানের নির্মাণের প্রত্যেকটি অংশে।

ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আলী বলেন, “সবচেয়ে বড় একটি জংশন, সবচেয়ে টেকনোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্টের যতো ক্রাইটেরিয়া আছে সবগুলো এখানে রয়েছে। এখানে সব ইন্টারলকিং স্টেশন। স্টেশন মাস্টার তার স্টেশনে বসবেন। তিনি ওখান থেকেই সব রেগুলেট করবেন।”

আগামী বছরের জুন নাগাদ ‘ঢাকা-মাওয়া-পদ্মাসেতু-জাজিরা-ভাঙ্গা’ অগ্রাধিকারমূলক অংশে যাতে রেল চলাচল পারে নির্মাণ কাজে সেরকম অগ্রগতি আনা হবে বলে আশাবাদ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।

রেলওয়ের পরিচালনা ও যাত্রীসেবা নিয়ে যখন সব মহলে আলোচনা-সমালোচনা ঠিক তখন রেলওয়েতে যুক্ত হতে যাচ্ছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনটি। এটি সর্বাধুনিক এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কারণে পরিচালনায় যেমন গতি আসবে তেমনিভাবে যাত্রীরা পাবেন বিশ্বমানের সেবা। এতে রেলের সামগ্রিকভাবে ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।