দীর্ঘ বঞ্চনার অবসানের আশা : তিস্তা ব্রিজ নির্মাণ শেষের পথে
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘ বঞ্চনার গল্প মুছে দেয়ার পালা এবার। নদীগর্ভে বিলীন হবে না তিস্তার দুপাড়। ফিরে পাওয়া জমিতে ফসল চাষ করে ভাঙা কোমরে শক্তি যোগাবার আশায় বুক বেঁধেছে নদীভাঙা মানুষ। ভাটির অঞ্চল কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার যোগাযোগ ব্যবসাবাণিজ্যেও ঘটতে যাচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। উত্তরের দুই জেলায় আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেয়া আশা জাগানিয়া তিস্তা সেতুর গল্প।
চিলমারীর কথা উঠলেই এখনো মনে নাড়া দেয় ভাওয়াইয়ার চিরচেনা অকৃত্রিম সুর। কল্পনায় চলে আসে ধুলো উড়িয়ে মেঠো পথে। চাকায় শব্দ তুলে ছুটে চলা। পণ্যবাহী গরুর গাড়ি চলার দৃশ্য। গাড়োয়ানের পথপানে চেয়ে আকুতির এ সুর উত্তরের সংস্কৃতি ও জনজীবনের প্রতিচ্ছবি। ‘যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়। নারীর মন মোর পইরা রয় রে। ওকি গাড়িয়াল ভাই। হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারী বন্দরে।’ যোগাযোগ, অবকাঠামো, অর্থনীতিসহ দিনবদলের ধারা যারা দেখেছেন, উভয় কালের সাক্ষী হয়ে আছে তাদের চোখ, পরিমল মজুমদার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, আমাদের শৈশবের প্রারম্ভ থেকে দেখেছি রাত দুইটা ও তিনটা পর্যন্ত এখানে হাট লাগতো এবং আশপাশের মানুষ এসে এখান থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে তারা কেনাবেচা করত। সেগুলো আসত গাইবান্ধা থেকে। এপারে গাইবান্ধা আর ওপারে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর। দুই জনপদের মাঝে বিভক্তির রেখা টেনে বয়ে চলেছে তিস্তা। তারপরও ব্যবসাবাণিজ্যের প্রয়োজনে থেমে থাকেনি যোগাযোগ। বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাহন ছিল গরুর গাড়ি। কালের বিবর্তনে গরুর গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগের সেই ভোগান্তিকেও এবার বিদায় জানাবার পালা। নদী শাসনের ফলে জেগে উঠবে হাজারো একর ফসলি জমি। তাইতো তিস্তা সেতু শুধু সেতু হিসেবে নয় তিস্তাপাড়ে ধরা দিয়েছে আশীর্বাদ হয়ে। ২০১৪ সালে সেতুটির ভিত্তি প্রস্তরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৩১টি পিলারের মধ্যে ৩০টি পিলারই দৃশ্যমান। আর ৩১টি স্প্যানের মধ্যে বসেছে ১৮টি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুর উভয়পাড়ে ২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, ৫ কিলোমিটার নদী শাসন ও ৮৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৭০ ভাগ। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, তিস্তা ব্রিজটি হওয়ায় নদী শাসন করা হয়েছে। দুপাড়ে জেগে উঠেছে ফসলি জমি। এখন আর নদীভাঙন হচ্ছে না। চর জেগে উঠায় হাজারো মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তিস্তা সেতু নির্মাণে ৮৮৫ কোটি টাকার পুরোটাই অর্থায়ন করছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট। আর এই সেতুটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড। আগামী বছরের ৩০ জুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আশা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। মালেক উদ্দিন জানান, তিস্তা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে চিলমারী থেকে ঢাকার দূরত্ব দেড়শ কিমি কমে আসবে।
গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানান, এ কাজের বর্তমান অগ্রগতি এবং এর গুণগতমান সন্তোষজনক। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের যে প্রত্যাশা সঠিক সময়ে সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। ছাবিউল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জানান, রাস্তার কাজগুলো অনেক দূর এগিয়েছে, বড় দুটি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে। আর যেটি সবচেয়ে বড় প্যাকেজ ধাপেরহাট-সাদুল্যাপুর সংযোগ সড়কের কারপেটিং কাজ চলমান। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পাঁচপীর হয়ে সদরের লক্ষীপুর দিয়ে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে কুড়িগ্রাম জেলা। এতে রাজধানীর সঙ্গে কুড়িগ্রামের দূরত্ব কমবে ১৩২ কিলোমিটার। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বর্ষাকালে নৌপথের ঝুঁকি আর শুষ্ক মৌসুমে দুর্গম বালুচর পাড়ি দিয়ে আর যোগাযোগ করতে হবে না কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা কিংবা রাজধানীর সঙ্গে। এমনিভাবে পরিবর্তন ঘটবে এই এলাকার ব্যবসাবাণিজ্যেও।
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- জেনে নিন খাবার স্যালাইনের সঠিক ব্যবহার
- প্রাণ জুড়াতে কাঁচা আমের আইসক্রিম
- ফোনের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করবেন যেভাবে
- সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি: অভিযুক্তের আত্মহত্যা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে
- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ
- বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া
- এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস
- সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
- চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ
- সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন
- রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ
- চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা
- প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গণতন্ত্র দখলকারীদের থেকে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়
- দেশের গণমাধ্যমে ৩ গুণ বেড়েছে ভুয়া খবর
- আমাদের ইভিএম এর ত্রুটি কেউ প্রমান করতে পারেনি-ইসি মো. আলমগীর
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই
- গৌরনদীতে ৪ কেজি গাঁজা ও ১০৩ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা
- র্যাবের অভিযানে শেবাচিম থেকে দালাল চক্রের ২৫ সদস্য আটক
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার
- ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, পরীক্ষার্থী প্রায় ৯৫ হাজার
- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিটিংয়ের মাধ্যমে আয় সম্ভব : পরিবেশমন্ত্রী
- শেষ হলো ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা
- দেশের বিভিন্ন স্থানে মহান মে দিবস পালিত
- মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনেকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারণা করছেন প্রার্থীরা
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- মঠবাড়িয়ায় সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের ব্যপক সাফল্য
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের অভিযোগ ব্যবহারকারীদের
- মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ গ্রেপ্তার ধর্ষকসহ-২
- জিয়াউর রহমানের আমলে নারীদের পতিতাবৃত্তি করতে হয়েছে: কাদের
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- লাইলাতুল কদরে কী দোয়া পড়বেন?
- খুলে দেওয়া হলো ৮ ওভারপাস দুই সেতু
- ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সতর্কতা ইউজিসির
- ফিটনেসবিহীন ৪৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
- মঠবাড়িয়ায় বসত ঘরে আটকে যুবককে উলঙ্গ করে নির্যাতন- আটক ২
- দুনিয়াবি বিপদ-আপদের প্রতিদান
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ওমরাহ পালনের শেষ সময় ১৫ জিলকদ
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- ম্যাঙ্গো রাইস