• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

আগস্টে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  

তৈরি পোশাক, বিশেষত নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি বাড়ার কারণে চলতি বছরের আগস্ট মাসে মোট ৩৩৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছরের আগস্ট মাসে ২৯৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

যদিও সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় কিছুটা কমেছে। এ সময় ৬৮৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ কম।

ইপিবির দেওয়া তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৭৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। এ সময়ে অর্জিত রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাত দশমিক আট শতাংশ কম।

জুলাই-আগস্ট মাসে তৈরি পোশাকের চালান থেকে আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক দশমিক দুই শতাংশ কমে ৫৬৪ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এর মধ্যে নিটওয়্যারের চালান থেকে এসেছে ৩২৫ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চার দশমিক ছয় শতাংশ বেশি।

মহামারি মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে আনুষ্ঠানিক পোশাকের চাহিদা কম থাকায় উভেন পোশাকের রপ্তানি আট শতাংশ কমে ২৩৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে নিটওয়্যার চালান বেড়েছে ১৭ শতাংশ। উভেন চালান বেড়েছে চার দশমিক চার শতাংশ। সব মিলিয়ে এই খাত সংশ্লিষ্ট পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, নিটওয়্যারের চালান ওভেনের চেয়ে ভালো ছিল। কারণ মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় বাড়িতে থাকার জন্য নিটওয়্যারের চাহিদা বেড়েছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, 'ওভেন পোশাক রপ্তানির এই ধারা আগামী দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কারণ মানুষ এখনো অফিসে ও বাড়িতে ক্যাজুয়াল পোশাক পরতেই পছন্দ করছে।'

এই পোশাক রপ্তানিকারকের ভাষ্য, অফিসগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হলে বিশ্বব্যাপী ওভেন বা আনুষ্ঠানিক পোশাকের চাহিদাও বাড়বে।

একইসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুর্বল ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, 'বিশ্বের অন্যান্য বিমানবন্দরের তুলনায় এই বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগে।'

পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরেও একই অবস্থা থাকায় বৈশ্বিক পোশাক ব্যবসায় রপ্তানিকারকরা পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন আজিম। তিনি বলেন, 'প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমাদের ব্যবসায়ের নিয়মকানুনগুলো সরল করা দরকার।'

নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে সহমত পোষণ করে জানান, পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ার সঙ্গে তারাও আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ পেয়েছেন।

হাতেম বলেন, 'ক্রয়াদেশ অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়লেও স্থানীয় বাজারে সুতার উচ্চমূল্য পোশাকশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।'

প্রতি কেজি সুতার দাম চার দশমিক দুই ডলার বেশি বাড়ানো উচিত হবে না বলেও মন্তব্য করেন হাতেম।

জুলাই-আগস্ট সময়কালে রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ সময়ে জীবিত ও হিমায়িত মৎস্য রপ্তানির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বেড়ে ৮৭ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ১৭৪ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলারে। আর টেক্সাইল পণ্যের রপ্তানি চার শতাংশ বেড়ে ১৭৫ দশমিক শূন্য ছয় মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

ইপিবির তথ্য অনুসারে, যদিও এ সময় পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ৩৫ শতাংশ কমে ১২৭ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।