• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী নাশকতার ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার দাবি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের ধারণা ছিল একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে: প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মার জন্য তাৎপর্যময় ও শোকের দিন

১২৫০ কোটি টাকা ধার নিলো আরো দুই ব্যাংক

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২২  

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরো ১২৫০ কোটি টাকা ধার করেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (এনআরবি গ্লোবাল)। ব্যাংক দু’টিকে তারল্য সহায়তা হিসেবে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এ টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুকুক বন্ড জমা রেখে এই অর্থ সহায়তা নিয়েছে ব্যাংক দু’টি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ব্যাংকগুলোর হিসাবে জমা হবে এ অর্থ।

ঋণ অনিয়মের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর হঠাৎ তারল্য-সংকটে পড়েছে দেশের ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো। অনেক গ্রাহক এসব ব্যাংকে রাখা আমানত অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নিচ্ছেন। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংককে টাকা ধার দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য চালু করেছে তারল্য সুবিধা। মূলত দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ইসলামি ব্যাংকগুলোকে এ সহায়তা দেওয়া হবে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নতুন সুবিধা চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটিরই মালিকানায় রয়েছে একই গ্রুপ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সুকুকের বিপরীতে প্রয়োজনমতো টাকা নিতে পারবে ইসলামি ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার নতুন যে তারল্য-সুবিধা চালু করেছে, তার আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো এখন ইসলামিক বিনিয়োগ বন্ড ও সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকগুলোর হাতে বিধিবদ্ধ জমার বাইরে খুব বেশি বন্ড হাতে নেই। এ জন্য খুব বেশি টাকা ধারও করতে পারবে না তারা। তাই ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত এসব ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

ইসলামী ব্যাংক চেষ্টা করছে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা আদায় করার। তবে এসব অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হওয়ায় তা শিগগিরই ফেরত আসছে না। আবার অন্য ইসলামি ব্যাংকগুলোও তারল্য-সংকটে পড়ায় এসব ব্যাংক থেকেও অর্থ পাচ্ছে না।