• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

রপ্তানি আয়ে এলো সুখবর, মে মাসে বাড়ল ২৭ শতাংশ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩  

রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমলেও মে মাসে রপ্তানি আয়ে এসেছে সুখবর। গেল মাসে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে ৪৮৪৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০১৯ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৮৩০ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।

রোববার (৪ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাসে রপ্তানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয়নি। মে মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১২০ মিলিয়ন ডলার। আর রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৮৪৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ পরিকল্পনা অনুসারে মে মাসে ১২০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় কম হয়েছে।

এর আগের মাস এপ্রিলে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৫৬ মিলিয়ন বা ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ইউএস ডলার। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৩৮ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। অর্থাৎ ৭৮২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার কম পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। শতাংশের হিসাবে যা ১৬.৫২ শতাংশ কম।

তার আগের মাস মার্চে রপ্তানি আয় ছিল ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ কম পণ্য রপ্তানি হয়েছিল মার্চে।

তবে ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় ছিল ইতিবাচক ধারায়। ওই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৪৬৩ কোটি ১ লাখ ইউএস ডলারের পণ্য। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছিল ২৯ কোটি ৪৫ লাখ ইউএস ডলার।

আর নতুন বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৫১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪৮৫০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। রপ্তানি বেড়েছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

রপ্তানি বাড়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। তাতে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ২০২২ থেকে মে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১ মাসে বিশ্ববাজারে মোট ৫০৫২৭ দশমিক ২৪ অর্থাৎ ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭১৭ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু এ সময়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২৪৫৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৬ হাজার ২৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির। সেই হিসাবে অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ পিছিয়ে আছে। অর্থাৎ ১৯০৬ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ পণ্য বিশ্ববাজারে কম রপ্তানি হয়েছে।