• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২১  

আরেক ধাপ বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। এই ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলমান ছুটি ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি)। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শুরুতে উপাচার্যদের মতামত চাওয়া হয়। তারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরিন আক্তার জানান, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব শিক্ষক করোনা ট্রেকারের আওতায় এসেছে। এছাড়া হলে থাকা শিক্ষার্থীরাও করোনার দুটি ডোজ নিয়েছে। তাই সেপ্টেম্বর থেকে হল খোলার আহ্বান জানান তিনি।

অপরদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শেষ করে হল খুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও হল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন।

উপাচার্যদের আলোচনা শেষে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চান শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, অবসান হলেন কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে এ সংক্রান্ত তথ্য ইউসিসিতে পাঠাতে হবে।

করোনা সংক্রমণের পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করে সরকার। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়।