• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ইউএসএইডের ১৮০ কোটি টাকার প্রকল্প

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২  

দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী শিশুদের, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শেখার সুযোগ বাড়াতে ১৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে ইউএসএইড। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের নতুন এই উদ্যোগ পাঁচ-বছর মেয়াদী অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প ‹সবাই মিলে শিখি› নামে পরিচালিত হবে। গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডি. স্টিভেনস বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে মিলে ১৮০ কোটি টাকার এই নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেনস বলেন, শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাকে আরো বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য ইউএসএইডের সবাই মিলে শিখি› প্রকল্পের অধীনে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ ও বিশেষায়িত শিক্ষা উপকরণ দেয়া হবে, যাতে করে তারা শ্রেণিকক্ষে থাকা যোগ্যতা ও দক্ষতার সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যসূচির শিখন ভালোভাবে পৌঁছে দিতে পারে। নতুন এই প্রকল্পে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে এমন অনন্য কিছু চ্যালেঞ্জ দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মা-বাবা, এলাকাবাসী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি অপবাদমূলক ও অসম্মানজনক আচরণ কমাতে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে যাতে করে তারা তাদের শিক্ষাকাল পূর্ণ করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করা এবং কোন শিশু যেন তার চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এই কারণেই আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই নতুন প্রকল্প শুরু করেছি যাতে করে সকল দক্ষতা স্তরের শিশুদের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার আমাদের যৌথ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়। ইউএসএইডের নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প সবাই মিলে শিখিগ্ধ বাংলাদেশের নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রিসার্চ ট্রায়াঙ্গেল ইন্সটিটিউট ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।