• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

কিংবদন্তি কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুর গুজব

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২১  

কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যুর গুজব।

শুক্রবার মধ্যরাতে খবরটি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর ও মেজো ছেলো মাসুক আলমগীর রাজীব।

সুরাইয়া আলমগীর জানান, বুধবার (১৪ জুলাই) ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ফকির আলমগীর।

মাসুক আলমগীর রাজীব জানান, ফকির আলমগীর নন- মারা গেছেন তার ছোট ভাই ফকির সিরাজের স্ত্রী। তার মৃত্যুর খবরটিই অনেকে ফকির আলমগীরের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছেন৷

ফকির আলমগীর আগের চেয়ে ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাবার যে প্লাজমা দরকার তা পাওয়া গেছে। আইসিইউতে থাকলেও চেতনা আছে। হাঁটাচলাও করতে পারছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজেই হেঁটে বাথরুমে গিয়েছেন। অক্সিজেন খুলে নিলে একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া সবমিলিয়ে ভালো আছেন।

বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে এবং কোনো কিছু নিশ্চিত না হয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন মাসুক আলমগীর রাজীব।

ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। অবশ্য এর আগে ষাটের দশক থেকেই গণসংগীত গেয়ে আসছিলেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।

স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।