• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

সুস্থ থাকতে সকালে খালি পেটে যা খাবেন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২১  

রাত আর সকালের খাবারের মধ্যে দীর্ঘ একটা সময়ের বিরতি থাকে। আর এ সময়ে ঠিকঠাক খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কারণ খালি পেটে সঠিক খাবার আমাদের সারাদিনের হজম ক্রিয়া ঠিক রাখে। আসুন জেনে নেই সকালে উঠে যে খাবারগুলো দিয়ে দিন শুরু করা ভালো-

গরম পানিতে মধু: মধু আপনার মন ও শরীর সতেজ করে তুলতে সহায়তা করে। খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়াও শক্তিশালী করে। মস্তিষ্কের কাজ করে ত্বরান্বিত। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে হলকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ হজম বা গ্যাস অম্বলের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগই পায় না।

পেঁপে

কাঁচা পেঁপে সাধারণত সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আছে ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিজ্জ ফ্যাট। তা ছাড়া কাঁচা অবস্থায় এতে সাইমোপ্যাপেইন এবং প্যাপেইন এনজাইম থাকে। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙতে সাহায্য করে। এছাড়া পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসহ নানা রকমের পুষ্টি উপাদান, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সকালে খালি পেটে পেঁপে খেলে অন্ত্র গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সঠিক বিকল্প।

তরমুজ

সকালে ঘুম থেকে উঠে তরমুজ খেতে পারেন। ৯০ ভাগ পানি নিয়ে গঠিত এ ফলটি শরীরকে হাইড্রেশনের একটি বিশাল অংশ সরবরাহ করে। এটি কেবল মিষ্টির চাহিদা পূরণ করেই না; তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এবং এছাড়াও উচ্চ পরিমাণে যৌগিক লাইকোপিন রয়েছে যা হৃদয় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
 
বাদাম

সকালের নাশতায় বাদাম থাকলে আপনার পরিপাক প্রক্রিয়া ভালো করে। বাদাম অন্ত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলো কেবল হজমে উন্নতি করে না, আপনার পেটের পিএইচ স্তরকেও স্বাভাবিকও করে তোলে।

ভেজানো বাদাম
খালি পেটে বাদাম খাওয়া উপকারী। বাদামে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। বাদাম রাতাভর ভিজিয়ে রেখে খেলে এর বেশি উপকার পাওয়া যায়।

আমলকীর জুস

সকালে খালি পেটে আমলকীর জুস খেতে পারেন। তবে এই জুস খাওয়ার পর ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কফি বা চা না খাওয়া ভালো। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়, নিয়মিত আমলকী খেলে জীবনের দৈর্ঘ্য বাড়ে। আমলকীর ভেষজ গুণ অনেক। আমলকীর রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, অজীর্ণ, হজমি ও কাশিতে বিশেষ উপকারী। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দিকাশি ঠেকাতে পারে।

আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আমলকীর জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা। প্রতিদিন খালি পেটে এই জুস খেলে হজম ভালো হয়, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

খেজুর

শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে খেজুর। দিনের শুরুতে খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর। খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। অল্প কয়েকটা খেজুর খেলে ক্ষুধার তীব্রতা কমে যায়। এই ফল পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। ফলে মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে। তাই সকাল শুরু হোক খেজুর দিয়ে।