• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

অ্যান্টিভাইরাল ওষুধই হতে পারে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে লড়ার হাতিয়ার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২  

ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রোগীদের উপর অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ- ব্রিনসিডোফোভির এবং টেকোভিরিমাট প্রয়োগ করেই আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন গবেষকরা।

মাঙ্কি পক্স রোগটা নতুন নয়। তবে এই রোগ সম্পর্কে খুব একটা স্পষ্ট ধারণা ছিল না বিশ্ববাসীর। আফ্রিকাতে এই রোগের হদিস আগে মিললেও, ইদানীং এমন কিছু দেশে এই রোগ ছড়াচ্ছে, যা নিয়ে বিস্মিত গবেষকরা। কোভিডের হানা এখনো পুরোপুরি কাটেনি, তারই মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ব্রিটেনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সাতজন নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। গবেষণার সমীক্ষা সম্প্রতি ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণা অনুযায়ী, এমন কিছু ‘অ্যান্টি ভাইরাল’ ওষুধ আছে যা প্রয়োগ করলে মাঙ্কি পক্সের উপসর্গগুলোকে প্রশমিত করা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, এই সব ওষুধের প্রয়োগ করে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন— এমনই দাবি গবেষকদের। এক্ষেত্রে রোগীদের উপর দুটি ভিন্ন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ— ব্রিনসিডোফোভির এবং টেকোভিরিমাট প্রয়োগ করেই আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন গবেষকরা।

মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে গবেষকরা ব্রিনসিডোফোভির নামক ওষুধটির কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হলেও টেকোভিরিমাটের বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন। গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, রক্ত এবং লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলেই শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি টের পাওয়া সম্ভব।

এই ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও। এর পর দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ফোসকার মতো ক্ষত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। যৌন মিলনের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

আমেরিকার একদল বিশেষজ্ঞের মতে, স্মল পক্সের টিকার মাধ্যমেও এই রোগের সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। দিন দিন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষকরা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন এই সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পথ।