• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

‘হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ কতটা গুরুতর? জানুন এর লক্ষণ

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে রাজধানীতে। অতি সংক্রামক এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মূলত শিশুরা। ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি বলে জানা গেছে। অনেকটা জলবসন্তের মতো এ রোগ মাত্রাতিরিক্ত ছোঁয়াচে। তবে আতংকিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ কতটা গুরুতর?

হাত-পা ও মুখের রোগ মূলত ভাইরাল সংক্রমণ, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে মুখে ঘা, হাত ও পায়ে ফুসকুড়ি। হাত-পা ও মুখের রোগের সংক্রমণ ঘটে কক্স্যাকি ভাইরাস দ্বারা।

যদিও হাত-পা ও মুখের রোগের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে ঘন ঘন হাত ধোয়া ও এই রোগে আক্রান্তদের কাছ থেকে দুরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে আপনার সন্তানের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

এই রোগে লক্ষণ কী কী?

>> জ্বর
>> গলা ব্যথা
>> ক্লান্তি
>> জিহ্বা, মাড়ি বা গালের ভেতরে বেদনাদায়ক ফোসকা ও ক্ষত
>> হাতের তালুতে, তলপেটে কিংবা নিতম্বে ফুসকুড়ি। ফুসকুড়ি চুলকায় না, তবে যন্ত্রণাদায়ক ফোসকা পড়ে। শিশুর ত্বকের রঙের উপর নির্ভর করে ফুসকুড়ি লাল, সাদা, ধূসর বা ছোট ছোট দাগ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
>> শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা
>> ক্ষুধামন্দা

কক্স্যাকি ভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায় মোটামুটি ৩-৬ দিনের মধ্যে। শিশুদের জ্বর ও গলা ব্যথা হতে পারে। জ্বর শুরু হওয়ার এক বা দুই দিন পরে, মুখ বা গলায় ঘা হতে পারে। হাত-পায়ে বা নিতম্বে ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।

মুখ ও গলার পেছনের যে ঘায়ের সৃষ্টি হয় তা ‘হারপাঞ্জিনা’ নামক একটি ভাইরাল অসুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। হার্পানজিনার অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে আছে হঠাৎ করেই উচ্চ জ্বর ও কিছু ক্ষেত্রে খিঁচুনি। বিরল ক্ষেত্রে হাত, পায়ে বা শরীরের অন্যান্য অংশে ঘা দেখা দেয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

হাত-পা ও মুখের রোগ তেমন গুরুতর কোনো রোগ নয়। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র কয়েকদিন পর্যন্ত এই রোগ হালকা উপসর্গ সৃষ্টি করে।

যদি আপনার সন্তানের বয়স ৬ মাসের কম হয়, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, অথবা মুখে ঘা বা গলা ব্যথার কারণে কিছু খেতে না পারে তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।

একই সঙ্গে সন্তানের উপসর্গ ১০ দিন পরেও না সারলে উন্নতমানের চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।