• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

হাই ব্লাড প্রেশার থেকে আরো যেসব রোগ হতে পারে

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

অনেকেই হাই ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, ঠিক সময়ে রোগ ধরা না পড়লে বহু অঙ্গের ক্ষতি হয়। এমনকি বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তাই হাইপারটেনশন নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের রক্তনালীর ভেতর থেকে প্রবাহিত হয় রক্ত। এবার রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্তনালীর ভেতর চাপ তৈরি করে। এই চাপই হল ব্লাড প্রেশার। মনে রাখবেন, ব্লাড প্রেশার সবারই থাকে। তবে তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলেই তৈরি হয়ে যায় সমস্যা। তখন বিভিন্ন অসুখ চেপে ধরে।

প্রশ্ন হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কখন বলা যায়? এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার ১৪০ এমএমএইচজি-এর উপর গেলে এবং ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৯০ এমএমএইচজি পার করলেই বলতে হবে হাই ব্লাড প্রেশার। হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে বহু জনের মধ্যে নামমাত্র সচেতনতাই নেই। তাই তারা ধরতেই পারেন না যে জটিলতা কতদূর যেতে পারে। আজ সেই বিষয়টিই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হল।

হাইপারটেনশনের লক্ষণ:  হাইপারটেনশন হল সাইলেন্ট কিলার। তাই অনেক ক্ষেত্রে তেমন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়-
১. মাথা ব্যথা
২. নাক দিয়ে রক্ত গড়ানো
৩. হৃদস্পন্দন বেড়ে বা কমে যায়
৪. কানে শব্দ হতে পারে
৬. বমি পেতে পারে
৬. ক্লান্তি
৭. বুকে ব্যথা
৮. উৎকণ্ঠা
৯. হাত-পায়ে কাঁপুনি
১০. বিভ্রান্তি ইত্যাদি।

ঝুঁকির কারণ: ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে অনেক ঝুঁকি আছে। এই যেমন-

১. বয়স অবশ্যই একটা বড় ঝুঁকির কারণ। বয়স বৃদ্ধি পেলে এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়
২. পরিবারের অন্যদের মধ্যে এই রোগ আগে থেকেই থাকলে
৩. ওজন বেশি
৪. ব্যায়াম করা হয় না
৫. ধূমপান করা
৫. প্রচুর পরিমাণে লবণ খাওয়া
৬. মদ্যপান
৭. দুশ্চিন্তা ইত্যাদি।

কী কী অসুখ হতে পারে: ব্লাড প্রেশারের চিকিৎসা না হলে হতে পারে নানা অসুখ। এই তালিকায় আছে-

১. হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক
২. অনিউরিজম
৩. হার্ট ফেলিওর
৪. কিডনির রোগ
৫. চোখের অসুখ
৬. বিপাকীয় অসুখ
৭. কোনো বিষয় বুঝতে সময় লাগে
৮. ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম হতে পারে।

তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে ব্লাড প্রেশারের নিয়মিত চিকিৎসা করা দরকার। হাই প্রেশার না থাকলেও বছরে একবার প্রেশার মাপান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।

রোগ নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি বিষয় মনে চললে অবশ্যই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেমন-
১. দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ নয়
২. বেশি পরিমাণে ফল ও সবজি খান
৩. মদ্যপান ছাড়ুন
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন, দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে
৫. বাইরের খাবার নয়
৬. ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে যান
৭. দুশ্চিন্তা কমান ইত্যাদি।

চিকিৎসা জরুরি: বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের চিকিৎসা খুবই জরুরি। চেষ্টা করুন নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার। তার পরামর্শ মতো ওষুধ খান। এখনকার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম। তাই চিন্তা নেই। এছাড়া প্রেশারের ওষুধ সারাজীবন খেতে হয়। তাই ওষুধ মাঝপথে ছেড়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।