• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

প্রোবায়োটিক মানেই কিন্তু ওষুধ খাওয়া নয়, তাহলে কী?

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩  

প্রোবায়োটিক নিয়ে এখন অনেক কথা শোনা যায়। তবে অনেকেরই ধারণা নেই যে ওষুধ ছাড়াও নানা খাবারে রয়েছে প্রোবায়োটিক। আসুন সেই সম্পর্কে জানা যাক।
আসলে ব্যাকটেরিয়ার কথা উঠলেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। যদিও বিষয়টা সবসময় ভয়ংকর নয়। কারণ কিছু ব্যাকটেরিয়া হল উপকারী। এই ব্যাকটেরিয়া শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই জীবাণুগুলোর নামই প্রোবায়োটিক। ​এরগুণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে হেলথলাইন জানাচ্ছে, উপকারী ব্যাকেটেরিয়া হল প্রোবায়োটিক। এই ব্যাকটেরিয়া বহু সমস্যার সহজ সমাধান করে দেয়। নিয়মিত প্রোবায়োটিক খেলে এই উপকার মেলে-

১. পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়
২. অবসাদ দূর হয়
৩. হার্ট ভালো থাকে
৪. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

তবে প্রোবায়োটিক মানেই কিন্তু ওষুধ খাওয়া নয়। বরং কিছু খাবারেও মেলে এই উপাদান। আসুন জানা যাক-

>> দই খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। এই দুগ্ধজাত খাবার স্বাদে যেমন অনন্য, ঠিক তেমনই গুণও রয়েছে হাজার। ওয়েব মেড জানাচ্ছে, দইতে আছে ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক। এই খাবার খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। দেখা গেছে, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বা দুধ খেলে যাদের সমস্যা হয়, তারাও অনায়াসে দই খেতে পারেন। এমনকি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কমিয়ে দেয় দই। তবে চেষ্টা করুন টক দই খাওয়ার। আর ফ্যাট ছাড়া দুধের দই বাড়িতেই তৈরি করুন। দোকানের দই থেকে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

>> এখন অনেকেই চিজ খান। বিভিন্ন খাবারে চিজ মেশানো হয়। মূলত স্বাদ বৃ্দ্ধির জন্যই চিজ মেশানো হয়। তবে এর গুণও কম নয়। বিজ্ঞান বলছে, চিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। এই প্রোবায়োটিক কিন্তু পেটের সমস্যা দূর করে দিতে পারে। তাই চিজ খেতেই পারেন। তবে বেশি পরিমাণে খাবেন না। কারণ এতে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হার্ট সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।

>> আচার খেলে মন ভরে যায়। আচার যুগের পর যুগ ধরে আমাদের দেশে তৈরি হয়ে আসছে। ছোট থেকেই নানা ধরনের আচার খেতে আমরা অভ্যস্ত। স্কুলের গেটে আচার কাকুর দোকান থেকে আচার কিনে খাননি, এমন ছেলেমেয়ের সংখ্যা সত্যিই হাতে গোনা। তবে নস্টালজিয়ায় ভেসে না গিয়ে একটা কাজের কথা বলি। আসলে আচারেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোবায়োটিক। তাই আচার নিয়মিত খেতেই পারেন। তবে বেশি তেল, মশলা দেওয়া আচার খাবেন না। এতে হিতে হবে বিপরীত।

>> জাপানের জনগণের জীবনযাত্রা আমাদের তুলনায় বহুগুণ স্বাস্থ্যকর। তাদের খাদ্যাভ্যাসও খুব উন্নত। তাই জাপানের অধিবাসীদের গড় আয়ু অনেকটাই বেশি। সেই দেশে ব্রেকফাস্টে মানুষ খেয়ে থাকেন মিসো সুপ। এই সুপে থাকে ফারমেন্টেড সোয়াবিনের পেস্ট। এছাড়াও এই সুপে রয়েছে ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সুপে ক্যালোরি থাকে কম। ফলে শরীর সুস্থ থাকে। তাই এখনই একবার এই সুপ বানানোর পদ্ধতি শিখে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিন।

>> এই ধরনের দুধ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই দুধকে ফারমেন্ট করা হয় ভালো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এছাড়া বাটার মিল্কেও মিলবে প্রোবায়োটিক। এই ধরনের দুধ নিয়মিত পান করলে অনায়াসে পেট থেকে হার্ট, মন সব ভালো থাকে। তাই প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করুন আজই।