• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

যেভাবে মানুষের রক্তে মিশে যাচ্ছে প্লাস্টিক

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩  

খাবার প্যাকেজিং ও রঙ করতে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্লাস্টিক এবার পাওয়া গেল মানুষের শিরায়! একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে এই মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো রক্তনালির মধ্যে দিয়ে ভাস্কুলার টিস্যুতে যেতে পারে।
তবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এই পদার্থ কী প্রভাব ফেলতে পারে তা এখনো স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে।

একটি ছোট দ্রুত গবেষণা করতে হার্ট বাইপাস সার্জারি হওয়া রোগীদের হিউম্যান স্যাফেনাস শিরার টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি অব হাল, হাল ইয়র্ক মেডিকেল স্কুলের একটি দল এবং হাল ইউনিভার্সিটি টিচিং হসপিটালস এনএইচএস ট্রাস্টের গবেষকরা যৌথভাবে এই গবেষণা করেন। গবেষণার পর তারা প্রতি গ্রাম শিরা টিস্যুতে ১৫টি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও, পাঁচটি আলাদা আলাদা পলিমারের খোঁজ মিলেছে টিস্যুতে।

সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো অ্যালকিড রেজিনের খোঁজ যা সিন্থেটিক পেইন্ট, বার্নিশ এবং এনামেলে পাওয়া যায়! এছাড়াও ছিল পলিভিনাইল অ্যাসিটেট (পিভিএসি) যা খাবার প্যাকেজিং এবং নাইলনে ব্যবহৃত একটি আঠালো পদার্থ। এছাড়াও পাওয়া ইভিওএইচ এবং ইভিএ প্যাকেজিং উপকরণগুলো বানাতে কাজে লাগে।

ইউনিভার্সিটি অফ হালের পরিবেশের বিষাক্ত পদার্থ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জিনেট রচেল জানান, শিরায় মাইক্রোপ্লাস্টিক খুঁজে পেয়ে বেশ অবাক হয়েছি। এরই মধ্যে আমরা জানতাম যে মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্তে রয়েছে। গত বছর ডাচ সহকর্মীদের দ্বারা একটি গবেষণা থেকে তা জানা যায়। কিন্তু রক্তনালীর ভাস্কুলার টিস্যুকে তারা অতিক্রম করতে পারে কিনা, তা পরিষ্কার ছিল না। তবে এই গবেষণা থেকে মনে হচ্ছে তারা এটি করতে পারে। আমরা এখনও মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে জানি না। তবে যেটুকু বলতে পারি তা হলো এগুলো থেকে প্রদাহ এবং স্ট্রেস তৈরি হতে পারে।

সম্প্রতি প্লস ওয়ান জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা গেছে যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মাত্রা কোলন এবং ফুসফুসের টিস্যুর জন্য রিপোর্ট করা হয়েছে নতুন পরিমাণটি তার সমান বা তার চেয়ে বেশি। স্যাফেনাস শিরাগুলো আসলে পায়ের রক্তনালি। যা মূলত সারা পায়ে রক্ত সঞ্চালন করে। পাশাপাশি পা থেকে হৃৎপিণ্ডে রক্ত পাঠাতে সাহায্য করে এই রক্তনালি। তাতেই মিলেছে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক।