ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৩
ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত রোগ। যার প্রভাবে শরীরে ইনসুলিন কমে যায় অথবা ইনসুলিন শরীরে কাজ করতে পারে না। তখন রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগটি সাধারণত কয়েক ধরণের হয়ে থাকে, টাইপ-১, টাইপ-২, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ও অন্যান্য।
এ দেশে টাইপ-১ রোগীর সংখ্যা কম। মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও যাদের ওজন বেশি এবং যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাদেরও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের মতো। যদিও আক্রান্তদের অর্ধেকেরও বেশি রোগটি সম্পর্কে জানেন না।
ডায়াবেটিস রোগীরা নিজেদের আক্রান্তের ব্যাপারটি যেমন জানেন না, তেমনি আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকেই নিয়মও মানেন না।
বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি গণমাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, ডা. সুপ্রিয়া সাহা। (মেডিকেল অফিসার, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল)
কারা আক্রান্ত হন
যাদের বাবা, মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যাদের হৃদরোগ, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা এই রোগে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া অনেক বেশি জাঙ্কফুড খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর কারণে তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, মানসিক চাপে যারা থাকেন, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লক্ষণসমূহ
১. ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করা।
২. বেশি বেশি পিপাসা।
৩. ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া।
৪. চোখে ঝাপসা দেখা।
৫. ওজন কমে যাওয়া।
৬. ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা।
৭. শরীরের বিভিন্ন অংশের কাঁটাছেড়া সহজে সেরে না ওঠা।
৮. হাত-পায়ে ব্যথা বা মাঝে মাঝে অবশ হয়ে যাওয়া।
ডায়াবেটিস নির্ণয়
ডায়াবেটিস রোগটি নির্ণয়ের জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে গ্লুকোজ সহনশীলতা পরীক্ষা (glucose Tolerance test)। এর জন্য রোগীকে সকালে খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খেয়ে ২ ঘণ্টা পর রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে সঠিকভাবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়।
ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস শরীরে নানা প্রকার জটিলতা তৈরি করে। ডায়াবেটিস সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না হলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, যৌন অক্ষমতা, অন্ধত্ব অথবা চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো রোগ হতে পারে।
চিকিৎসা
ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৪টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. শৃঙ্খলা: ডায়াবেটিস রোগীদের সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা ও সঠিক সময়ে ঘুমানো প্রয়োজন। এ ছাড়া নিয়মিত হাঁটাহাঁটিও করতে হবে।
২. খাবার: ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার নিমন্ত্রণ করতে হবে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য তালিকা থেকে শর্করা বা মিষ্টিজাতীয় খাবারকে পরিহার করতে হবে।
৩. ঘুম: ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ঘুম খুব জরুরি। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হলে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. ওষুধ: নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। ডায়াবেটিসের ওষুধ মূলত দুই ধরণের। খাবার ট্যাবলেট ও ইনসুলিন ইনজেকশন। বিভিন্ন কারণে যখন কোনো রোগীকে খাবার ওষুধ দিয়ে ডায়াবেটিস বা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না, তখন ওষুধের সঙ্গে ইনসুলিন ইনজেকশনও নিতে হয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়
১. ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ও সুষম খাদ্য গ্রহণ খুব জরুরি।
২. নিয়মিত হাঁটতে হবে।
৩. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৪. অতিরিক্ত তেল, মসলাজাতীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. শাকসবজি, ফলমূল বেশি করে খেতে হবে।
৬. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৭. ধূমপান পরিহার করতে হবে।
- কোটা আন্দোলনে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান
- ঘন ঘন প্রস্রাব, সঙ্গে যেসব লক্ষণ কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়
- ইন্টারনেট ছাড়াই সময় কাটান মজার কিছু করে
- গরম ভাতে পাতে রাখুন কাঁঠাল বীজের ভর্তা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
- ফোনের রেডিয়েশনের ক্ষতি এড়াতে যা করবেন
- আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি
- আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- যাত্রাবাড়ীতে সহিংসতার কুশিলব যুবদল নেতা নয়ন
- আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিল বেরোবি
- সরকার পতনের জন্যই সহিংসতা করেছে বিএনপি-জামায়াত
- সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- ‘মারা যাইনি, সুস্থ আছি’ মৃত্যুর গুজবে নায়ক রুবেল
- উত্তরায় যুবলীগ কর্মীকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির
- দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
- আনিকার মারা যাওয়ার খবরটি গুজব, আনিকা সুস্থ আছেন
- নাহিদসহ তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- নাশকতা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২৯০
- উপাচার্যসহ ২০ জনকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
- নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে : বাহাউদ্দিন নাছিম
- আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল
- সাগরে লঘুচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে : কাদের
- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বরিশালের মেঘনায় তলা ফেটে কার্গোডুবি, ১০ নাবিককে উদ্ধার
- সাগরে ট্রলার ডুবিতে মঠবাড়িয়ার নিখোঁজ ৫ জেলের ৭ দিনেও খোঁজ মেলেনি
- চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের শিকার তরুণী: কর্মকর্তা বরখাস্ত, গ্রেফতার ৩
- ব্যাংকিং কার্যক্রমের নয় মাসের নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
- ইলিশের লেজ ভর্তা
- উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণে জেলার ৬ চেয়ারম্যানের সংবর্ধনা
- ট্রাম্পকে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা
- বরিশালে জাল মুদ্রা-মোটরসাইকেলসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি ফের গ্রেপ্তার
- মঠবাড়িয়ায় ৮’শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পন্য বিতরন
- মঠবাড়িয়ায় সাড়ে তিন কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
- এবার খান ইউনিস খালি করার নির্দেশ ইসরাইলের
- ছারছীনা দরবার শরীফের পীর শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ আর নেই
- চরখালীতে হচ্ছে মৈত্রী সেতু উপকূলে আনন্দের বন্যা
- বর্ষায় বাড়ে একজিমার সমস্যা, সমাধানে কী করবেন?
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- মঠবাড়িয়ায় শিশু বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- র্যাবের জালে ধরা পড়ল দুই মাদক কারবারি
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিচ্ছে বিলিং সহকারী