• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

কাবুল বিমানবন্দরে ফের হামলার শঙ্কা, সতর্কতা জারি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১  

তিন দিনের মাথায় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরে আরেকটি বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আরেকটি হামলার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। সামরিক কমান্ডাররা তাকে জানিয়েছেন, রোববারই এই হামলা হতে পারে। সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি থাকায় মার্কিন নাগরিকদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

খবরে বলা হয়, কাবুলে এখনো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাজ্যের সৈন্য, কূটনৈতিক এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি কাবুল ছেড়ে গেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের কাছে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়। ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্থানীয় একটি শাখা-ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশ (আইএস-কে) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পাল্টা জবাব হিসাবে শুক্রবারে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শীর্ষস্থানীয় দুজন আইএস নেতা মারা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই দুজন পরিকল্পনাকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।

শনিবার একটি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই (ড্রোন) হামলাই শেষ নয়। জঘন্য ওই হামলার সঙ্গে যে ব্যক্তি জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খোঁজ আমরা চালিয়ে যাবো এবং উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।

আফগানিস্তানের সবচেয়ে চরমপন্থী ও সহিংস জঙ্গি গ্রুপ হচ্ছে আইএসকে। আফগানিস্তানের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমেরিকানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছে তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। তারা বলছেন, আমেরিকানদের উচিত ছিল, আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা।

এদিকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে সেখানে ৫৮০০ সৈনিক থাকলেও এখন রয়েছে ৪০০০ মার্কিন সৈন্য।

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় সামনের কয়েকদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, বিমানবন্দরের আশেপাশে আরও কয়েক স্তরের তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে তালেবান। বেশিরভাগ আফগানকে তারা এসব চেকপোস্ট পার হতে দিচ্ছে না।

দুই সপ্তাহ আগে বিমানে করে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আফগান ও বিদেশি নাগরিক মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ১০ হাজার লোককে সরিয়ে আনা হয়েছে।