• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

হামাসের যেসব শর্ত মেনে যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েল

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৩  

সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা বন্ধের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ফলে অন্তত চার দিনের জন্য গাজাবাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাবে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদনের এ খবর জানা গেছে। জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসকে সম্মত করতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইসমাইল হানিয়া তার এক সাক্ষাৎকারে প্রথমে জানান, দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে প্রায় ঐক্যমত্য পোষণ করেছে। এরপর রাতে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে আলোচনায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ফলে অন্তত চার দিনের জন্য গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ থাকবে।

হামাসের শর্ত:

যুদ্ধবিরতির বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থলপথসহ সকল ধরনের অভিযান বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়াও গাজায় বা গাজার আশপাশে ইসরায়েলি সামরিক যান চলাচল বন্ধ রাখাতে হবে।

এছাড়াও গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই চলমান চিকিৎসা উপকরণ, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ঢুকতে দেয়ার দাবিও জানিয়েছে হামাস।

হামাস জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চার দিনের জন্য ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখতে হবে। তবে জানা গেছে উত্তর গাজায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখা হবে। তাছাড়া যুদ্ধ বিরতি চলাকালীন কোন ফিলিস্তিনকে আটক না করার দাবি জানিয়েছে হামাস।

ইসরায়েলের শর্ত:

হামাসের পাশাপাশি ইসরায়েলও যুদ্ধ বিরতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। ইসরায়েল সরকারের বিবৃতিতে প্রথমেই হামাসের হাতে আটক থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে (নারী ও শিশু) আগামী চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। এ ছাড়া জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়াটিও চলমান থাকবে বলে জানায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও ইসরায়েল জানায়, অতিরিক্ত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতি একদিন করে বাড়বে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে হামাস ২৪০ ইসরায়েলি আটক করে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জিম্মি মুক্তিতে তাদের পরিবারের চাপ ও বিশ্বজুড়ে গাজায় ইসরায়েলের অমানবিক হামলা বন্ধের চাপের প্রেক্ষিতে এ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইসরায়েল।