• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও শোধন পদ্ধতি

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১  

চলছে বর্ষাকাল। এই সময় আকাশের একটু মন খারাপ হলেই সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। আবার যখন মন ভালো হয় তখন হেসেও ওঠে। তার খুশিতে চারপাশ রোদের আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি মানুষের মনে যেমন আনন্দ যোগায়, তেমনি বিড়ম্বনায়ও ফেলে। আবার অনেক রোগ থেকেও মুক্তি দেয়। বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ। তাই নির্ভয়ে এই পানি পান করা যায়।

তবে এর জানা জরুরি বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও শোধন পদ্ধতি। নইলে বিশুদ্ধ বৃষ্টির পানিতে ময়লা, ধুলাবালি পড়ে খাওয়ার অযোগ্য হয়ে উঠবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও শোধন পদ্ধতি-

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার জন্য বড় আকারের পাত্র বা ড্রাম নিন। সেক্ষেত্রে ভালো মানের প্লাস্টিকের বিভিন্ন আকারের ড্রাম কাজে লাগানো যেতে পারে। ড্রামের মুখ নেট ও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে মশা, কীটপতঙ্গ বা পোষা প্রাণী দ্বারা পানি নষ্ট না হয়।

বাড়ির ছাদ যদি হয় টিনের, তাহলে তা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য আদর্শ। একটু খাটুনি করে টিনের চালের সঙ্গে ইউ শেপ করে টিন কেটে বসিয়ে দিন। বৃষ্টির সময় ড্রামটি ওই আদল বরাবর বসিয়ে দিন। এতে সহজে পানি ভরে নেয়া যাবে।

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও শোধন

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়া (রেইন ওয়াটার কালেকশন সিস্টেম) স্থাপন করে প্রাকৃতিক এ পানি মজুদ করতে পারেন। এ প্রক্রিয়ায় মাটির নিচে একটি বড় ট্যাংক স্থাপন করা হয়। বৃষ্টি হলে পানি সরাসরি ট্যাংকে জমা হবে। এর সঙ্গে একটি ফিল্টার ও পাম্প থাকবে, যাতে আপনার চাহিদা অনুযায়ী তা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারে। এ ধরনের সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অবশ্য বেশ ব্যয়বহুল। অভিজ্ঞ লোক ডেকে এটি স্থাপন করতে হবে।

স্বল্প পানি সংরক্ষণের জন্য বালতি, বড় আকারের জার, বোতল ইত্যাদি ব্যবহার করুন। খুব কম সময়ের মধ্যে এ পানি ব্যবহার করে ফেলতে হবে। বেশি সময় এ পানি রাখা যাবে না। এতে মশা বংশবৃদ্ধি করবে। সবচেয়ে ভালো হয় দুই দিনের মধ্যে পানি ব্যবহার করে ফেললে।