• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পিরোজপুর সংবাদ

কোরিয়ানরা যেভাবে ওজন কমায়

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৩  

কোরিয়ানরা কেবল রূপচর্চার কাজেই দক্ষ নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট সফল। এর পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে কিছু বিষয়ও তারা মেনে চলেন। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে তাদের সেসব স্বাস্থ্যকর উপায় মেনে চলতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ও পরিমাণমতো খাবার খাওয়া। তবে এসবকিছু মেনে চলেও অনেকে সফল হতে পারেন না। এক্ষেত্রে কোরিয়ান কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় আপনাকে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-


বার্লি চা

কোরিয়ানরা গরম ও ঠান্ডা দুইভাবেই পান করে থাকেন এই বার্লি চা। এই পানীয় ভাজা বার্লি দানা দিয়ে তৈরি করা হয়। বার্লি চায়ের রয়েছে আশ্চর্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি স্বাদে হালকা তেতো। তবে এর উপকারিতা দুর্দান্ত। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ক্লান্তি, প্রদাহ, ডায়েরিয়ার প্রতিকার হিসেবে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।


গ্রিন টি

 

কোরিয়াতে রোস্ট করা ব্রাউন রাইসের সঙ্গে মেশানো গ্রিন টি খাওয়া হয়। এটি নোকচা নামে পরিচিত। এই পানীয় খুবই পুষ্টিকর। নোকচা নামক পানীয়টি এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে। এটি আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কাজ করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও।


ওজন কমানো নিয়ে ৪টি ভুল ধারণা
বেশি খেয়েও ওজন কমানোর ৩ উপায়
ওজন কমাতে চাইলে ঘুমের আগে যে কাজগুলো করবেন
কোরিয়ান আদা চা

ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান আদা চা-ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই চা-কে সেং গাংচা বলা হয়। এটি মূলত আদা ও বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয়। এই স্বাস্থ্যকর পানীয়টি ওজন কমানোর পাশাপাশি ঠান্ডা ও ফ্লু-র উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এই পানীয়তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টও শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।


কোরিয়ান ইওনিপ চা

সাদা পদ্ম ফুল ব্যবহার করে তৈরি করা হয় কোরিয়ান ইওনিপ চা। এই চায়ে ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এটি ব্লাড পিউরিফাই করতে সাহায্য করে। ঘুমের সমস্যাও দূর করতে কাজ করে এটি। এই চায়ে ভিটামিন সি এবং ফ্লাভোনয়েড থাকে। যে কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও শরীরের আরও অনেক কাজে লাগে।

গুল চা

গোলাপ চা বা গুল চা হলো একটি স্বাস্থ্যকর কোরিয়ান পানীয়। এটি আপনি চোখ বন্ধ করে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটি কেশর ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই পানীয় ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ। ফলে এই চা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে দ্রুতই।